শেষ মাসে কত জমা পড়েছে, দেখার জো নেই। মেলানোর উপায় নেই পাসবুক। ৫ মাস ধরে কার্যত খোলাই যাচ্ছে না কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) সাইট। পাওয়া যাচ্ছে না অনলাইন পরিষেবা। ফলে প্রবল অসুবিধায় পড়ছেন বহু গ্রাহক। সমস্যা মেনেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অবস্থা স্বাভাবিক হতে মাসখানেক লাগবে।
কলকাতায় পিএফের আঞ্চলিক কমিশনার রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জানি সদস্যরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দিল্লির কেন্দ্রীয় দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, মাস খানেকের মধ্যে পরিষেবা পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হবে।’’
পিএফ-অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার নম্বর যোগ করা থাকলে, নিজেদের ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে বেশ কিছু পরিষেবা পান গ্রাহক। দেখতে পারেন পিএফের পাসবই, অ্যাকাউন্টে কত জমা রয়েছে, প্রতি মাসে কত টাকা জমা পড়ছে, সুদ বাবদ আয় কতটা হল ইত্যাদি।
আগে পিএফের বিভিন্ন আঞ্চলিক দফতর থেকে ওই সমস্ত তথ্য অনলাইনে সদস্যদের জানানোর বন্দোবস্ত ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তথ্য জানানোর কেন্দ্রীভূত (সেন্ট্রালাইজড্) ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেন পিএফ কর্তৃপক্ষ। এ জন্য দিল্লিতে একটি কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার শুরু সেখানেই।
নতুন ব্যবস্থায় দেশে পিএফের বিভিন্ন দফতর থেকে সদস্যদের অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে তথ্য দিল্লির ওই কেন্দ্রের সার্ভারে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। যাতে ওই সার্ভারের মাধ্যমেই সদস্যরা অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য জানতে পারেন। সমস্যা হল, নতুন এই ব্যবস্থা গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে সঠিক ভাবে চালু করতে পারেননি পিএফ কর্তৃপক্ষ। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সদস্যদের।