প্রতীকী ছবি।
পাঁচ বছরে দেশে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার অর্ধেক বাজারই বেসরকারি ব্যাঙ্ক কব্জা করবে বলে ধারণা কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্ক কর্ণধার উদয় কোটাকের। এখন যা ৩০%।
মঙ্গলবার ব্যাঙ্কিং শিল্প নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ে জোর, এই শিল্পে কৃত্রিম মেধার প্রসার, ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থা নেওয়ার দক্ষতা, চাহিদা বুঝে পরিষেবা দেওয়াই এই দখল বাড়াতে সাহায্য করবে। একই সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন ইনফোসিস কর্তা নন্দন নিলেকানি।
কোটাকের দাবি, বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দেওয়ার সময়ে অনেক বেশি খুঁটিনাটি বিষয় দেখে। যে কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তুলনায় তাদের অনুৎপাদক সম্পদ অনেকটা কম। পাশাপাশি, গত এক বছরে ব্যাঙ্কিং ব্যবসার বৃদ্ধির নিরিখে সিংহভাগই দখল করেছে বেসরকারি ক্ষেত্র। ভবিষ্যতেও সেই ধারা বজায় থাকবে বলে তাঁর মত। সে জন্য এখনই এই শিল্পের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈরিতে জোর দিয়েছেন কোটাক।
তাঁর মতে, কিছু সমস্যা থাকলেও, সার্বিক ভাবে দেশে আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রের অবস্থা ভাল। পুরোপুরি ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু হলে সেই সমস্যাও এড়ানো যাবে। সে ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়ার আগে ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা, আধার ভিত্তিক পরিষেবা চালুর পক্ষে সওয়াল করেন কোটাক। ইতিমধ্যেই তাঁরা সে পথে পা বাড়িয়েছেন বলেও তাঁর দাবি।
নিলেকানির মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্য যখন ভাল, তখনই তা বিক্রি করা উচিত কেন্দ্রের। নয়তো এয়ার ইন্ডিয়ার মতো অবস্থা হলে, জলের দরে বিক্রি করতে হবে।
অনুৎপাদক সম্পদ কমাতে দেউলিয়া আইনে সংস্থা ঘুরে দাঁড় করানোকেও এ দিন সমর্থন করেছেন দু’জনে। কোটাকের বক্তব্য, এ জন্য আগে আনা কোনও ব্যবস্থাই কাজ দেয়নি। এখন এই আইনে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা দেখা উচিত।