চর্মনগরীতে এখনও বেহাল বিদ্যুৎ, ব্যাহত উৎপাদন

গত তিন সপ্তাহ আগে প্রবল বৃষ্টিতে বানতলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। সেই বেহাল দশা এখনও কাটেনি। অভিযোগ, জোড়া-তাপ্পি দিয়ে মেরামত করার ফলে ব্যবসা ও মানুষের প্রাণ, দুই-ই বিপন্ন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০১:৫৬
Share:

গত তিন সপ্তাহ আগে প্রবল বৃষ্টিতে বানতলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। সেই বেহাল দশা এখনও কাটেনি। অভিযোগ, জোড়া-তাপ্পি দিয়ে মেরামত করার ফলে ব্যবসা ও মানুষের প্রাণ, দুই-ই বিপন্ন।

Advertisement

প্রতি বছর বর্ষায় অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যায় ভোগে চর্মনগরী। যার জেরে দফায় দফায় বিদ্যুৎহীন হয়ে যায় এই বিশেষ আর্থিক অঞ্চল। মার খায় উৎপাদন। খেসারত হিসেবে প্রতি বর্ষায় অন্তত ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হারাতে হয় বলে অভিযোগ চর্ম ব্যবসায়ীদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পরিকল্পনা অনুযায়ী বানতলায় ছ’টি সাব-স্টেশন হওয়ার কথা ছিল। তা হয়নি। বাস্তবে রয়েছে দু’টি। এবং সেগুলিও মূল রাস্তার তুলনায় অনেকটা নীচে। ফলে প্রতি বর্ষায় জলে ডুবে যায়। প্রাণ বাঁচাতে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন সাব-স্টেশনের কর্মীরা। চর্ম ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাম্প চালিয়ে জল সরানোর কাজেও প্রশাসনের কোনও মাথাব্যথা নেই।

Advertisement

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের গোড়া থেকেই সমস্যাটি চরমে উঠেছে। বৃষ্টির জেরে প্রায় এক সপ্তাহ বানতলা চর্মনগরীর একটি অংশ বিদ্যুৎহীন থাকে। ৫০টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়, ব্যবসায় ক্ষতি ১০ কোটি ছাড়ায় বলেও অভিযোগ। চর্ম ব্যবসায়ীদের সংগঠন ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারিজ অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের কাছে একাধিকবার আর্জি জানানোর পরে কোনও মতে মেরামতি করা হয়, যা সমস্যা মেটাতে পারেনি। ফলে এখনও ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ খান বলেন, ‘‘সমস্যা থেকেই গিয়েছে। হাই টেনশন তার খোলা পড়ে আছে। যে-কোনও সময়ে বিপদ হতে পারে।’’ বিপদের কথা অস্বীকার করেনি রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাও। ওই অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা চিফ ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের হাতে থাকা দু’টি সাব-স্টেশনে জল জমার সমস্যা গোড়া থেকেই।’’ আজ এ নিয়ে চর্ম ব্যবসায়ী ও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আর এক প্রস্ত আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন