ক্রমাগত কমেছে ন্যানো বিক্রি।
জন্মলগ্ন থেকে তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রাজনৈতিক গোলমালে কারখানা সরাতে হয়েছে অন্য রাজ্যে। বাজারে আসার পরে ক্রমাগত কমেছে বিক্রিও। আর এ বার প্রশ্নের মুখে রতন টাটার সেই স্বপ্নের ন্যানোর ভবিষ্যৎ। আত্মপ্রকাশের এক দশক পূরণ করার আগেই।
দেশে নতুন দূষণ বিধি মেনে চালু থাকা গাড়িগুলিকে ২০২০ সালের মধ্যে ‘ভারত স্টেজ-৪’ মাপকাঠির উপযোগী হতে হবে। ২০১৯ সাল থেকে আসবে চালু গাড়িগুলির নতুন নিরাপত্তা বিধিও। ওই সব নিয়ম মেনে ন্যানোকে ভবিষ্যতে রাস্তায় চালাতে দু’বছরের মধ্যেই চাই নতুন লগ্নি।
সূত্রের খবর, এ নিয়ে এখনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। তাই নতুন নিয়ম মেনে ন্যানোর উত্তোরণ আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। যদিও টাটা মোটরস এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি।
‘এক লাখি’ গাড়ি হিসেবে বাজারে এলেও, রাজনৈতিক গোলমালের জেরে সিঙ্গুর থেকে গুজরাতের সানন্দে কারখানা সরানো-সহ নানা কারণে গাড়ির দাম আর এক লক্ষ টাকায় ধরে রাখতে পারেনি সংস্থা। খোদ রতন টাটা পরে বলেন গাড়িটির বিপণন কৌশলের ব্যর্থতার কথা। গোটা প্রকল্পটি নিয়ে রতন টাটাকে বিঁধে প্রশ্ন তোলেন টাটা গোষ্ঠীর বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রিও।
বস্তুত, কয়েক বছর ধরেই পড়তির দিকে ন্যানোর বিক্রি। মে মাসে দেশে ৩৫৫টি ও বিদেশে ৫০টি ন্যানো বিক্রি হয়েছে। যদিও শুক্রবার সংস্থার মুখপাত্র জানান, গুরুত্বপূর্ণ বাজারে ক্রেতা-চাহিদা মেটাতে তাঁরা ন্যানো তৈরি করবেন। তবে কত দিন? তা স্পষ্ট করেননি তিনি।