নিজের ব্যক্তিগত তথ্য মুহূর্তের হয়ে যেতে পারে অসুরক্ষিত। প্রতীকী ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
অনলাইন ব্যাঙ্কিং এসে লেনদেনকে সহজ করেছে টাকা লেনদেন ব্যবস্থা। কিন্তু নেট দুনিয়ায় জচ্চোরদের অবাধ গতিবিধিতে অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের নিরাপত্তার ঝক্কিও কিছু কম নয়। এই মাধ্যমে একটা ছোট্ট ভুল নিজের অজান্তে শেষ করে দিতে পারে অ্যাকাউন্টের টাকা। নিজের ব্যক্তিগত তথ্য মুহূর্তের হয়ে যেতে পারে অসুরক্ষিত।
‘এনি ডেস্ক’ সে রকমই একটি অ্যাপ। যে অ্যাপটি পরিচালিত হয় নেট জালিয়াতদের মাধ্যমে। তাই অ্যাপটি নিজের মোবাইল বা ল্যাপটপে একবার ইনস্টল করলে গ্রাহকদের অজান্তেই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সংস্ত তথ্য চলে যায় নেট জালিয়াতদের জিম্মায়। রিমোর্ট স্ক্রিন অ্যাকসেসর মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল বা ল্যাপটপের নিয়ন্ত্রণও থাকে জালিয়ারদের হাতেই। তাই এই অ্যাপ থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে গ্রাহকদের সতর্ক করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
কী ভাবে চলে অ্যাপের মাধ্যমে এই জালিয়াতি?
এ ব্যাপারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি হিসাবে গ্রাহকদের ফোন করে জালিয়াতরা। তারপর ‘এনি ডেক্স’ অ্যাপটি ডাইনলোড করার জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। কোনও গ্রাহক প্রলোভিত হয়ে এই অ্যাপটি ইনস্টল করলেই খেলা শুরু হয়ে যায় জালিয়াতদের।
অন্যান্য অ্যাপের মতো এই অ্যাপও বিভিন্ন প্রাইভেসি পারমিশন চেয়ে থাকে। সেই পারমিশন দিলেই গ্রাহকের সমস্ত তথ্য পেয়ে যায় জালিয়াতরা। শুধু তাই নয়। এই পারমিশন দেওয়ার পর তৈরি হয় ৯ সংখ্যার একটি কোড। অ্যাক্টিভেশনের নাম করে ফোন করে সেই কোড কৌশলে জেনে নেয় জালিয়াতরা। এই কোড জালিয়াতদের হাতে একবার চলে গেলেই গ্রাহকের ফোন বা ল্যাপটপের সমস্ত নিয়ন্ত্রণ চলে যায় জালিয়াতদের হাতে।
এই নিয়ন্ত্রণ জালিয়াতদের কাছে চলে গেলেই শুধুমাত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নয়, মোবাইল ওয়ালেট থেকেও অনায়াসে টাকা চুরি করতে পারবে জালিয়াতরা। আসলে ‘এনি অ্যাপ’ রিমোট স্ক্রিন অ্যাকসেস পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ওই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের কম্পিউটার বা মোবাইলের নিয়ন্ত্রণ হাসিল করে নেট জালিয়াতরা।
তাই জালিয়াতদের কবল থেকে বাঁচতে ভুলেও ডাউনলোড করবেন না এই অ্যাপ। নিজের গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড, সিভিভি, পিন সম্পর্কিত তথ্য অন্যদের সঙ্গে শেয়ার না করার বার্তাও আরবিআই-এর তরফে গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতকে ফের শুল্ক-হুমকি ট্রাম্পের