হতাশ করেছে শিল্প, সঞ্জীবনী সুদ-সম্ভাবনাই

নভেম্বরের শিল্পোৎপাদন ঠেকেছে ১৭ মাসের তলানিতে। কিন্তু তাতে মুখ ভার করে থাকার বদলে চাঙ্গা হল শেয়ার বাজার। যার প্রধান কারণ তলানিতে ঠেকা মূল্যবৃদ্ধি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৯
Share:

নভেম্বরের শিল্পোৎপাদন ঠেকেছে ১৭ মাসের তলানিতে। কিন্তু তাতে মুখ ভার করে থাকার বদলে চাঙ্গা হল শেয়ার বাজার। যার প্রধান কারণ তলানিতে ঠেকা মূল্যবৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বার কল কারখানায় উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে শিল্পের মূলধন সংগ্রহের খরচ কমাতে সুদ ছাঁটতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার যুক্তিতে যে দাবিতে অনড় শিল্প ও কেন্দ্র। এবং মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি মাথা নামালে যে পথে হাঁটবে বলে আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আরবিআই। তাই শিল্প হতাশ করলেও, সুদ কমার আশায় ভর করে মঙ্গলবার এক লাফে সেনসেক্স বাড়ল ৪৬৪.৭৭ পয়েন্ট। দাঁড়াল ৩৬,৩১৮.৩৩ অঙ্কে।

Advertisement

ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সূচকের উত্থানের প্রভাবও পড়েছে ভারতে। সঙ্গে জ্বালানি জুগিয়েছে ফান্ড-সহ ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির টানা লগ্নি।

যদিও এতে শেয়ার বাজারে অনিশ্চয়তা কমার তেমন কারণ দেখছেন না বহু বিশেষজ্ঞই। বরং তাঁদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি ও দেশে ডলারে টাকার দাম কমা। এ দিন ১৩ পয়সা বেড়ে এক ডলার হয়েছে ৭১.০৫ টাকা। এই নিয়ে তিন দিনে ডলারের উত্থান মোট ৬৪ পয়সা। একাংশের আশঙ্কা তেল, টাকার পাশাপাশি ভোটজনিত অস্থিরতা যোগ হয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়তে পারে।

Advertisement

শুধু তাই নয়, ডিসেম্বরে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি ১৮ মাসের তলানি ছোঁয়ায় ও পাইকারি বাজারে তা ৮ মাসের সর্বনিম্ন হওয়ায় প্রমাদও গুনছেন অনেকে। বলছেন, মূল্যবৃদ্ধির হার এতটা নামা অর্থনীতির পক্ষে ভাল নয়। বরং তাঁদের প্রশ্ন, তা হলে কি আমজনতা জিনিসপত্র খুব কম কেনাবেচা করছেন? যা আসলে বাজারে চাহিদা কমারই লক্ষণ। ওই বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই প্রবণতা অর্থনীতির পক্ষে মোটেই ভাল ইঙ্গিত বহন করে না। বরং মূল্যবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের আশেপাশে থাকলে কিছুটা নিশ্চিন্ত হওয়া যেত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন