RBI

RBI: রাজ্যের ঋণ নিয়ে সতর্কবার্তা

শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতিই দেখিয়ে দিচ্ছে সরকারের ঋণে রাশ টেনে রাখা কতটা জরুরি। ভারতেও রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে সেই কথা প্রযোজ্য।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২২ ০৮:২৫
Share:

ফাইল চিত্র।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্যের কথা নিজেদের বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করার পরে এ বার এক প্রবন্ধে রাজ্যগুলির ঋণ নিয়ে সতর্ক করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে বলা হয়েছে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং বিহারের সরকারি ঋণ এতটাই বেশি যে, চাপে পড়ছে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্য। এই সব রাজ্যকে অবিলম্বে ‘বিনামূল্যে বিতরণের’ মতো বাড়তি খরচে রাশ টেনে পরিস্থিতি শোধরানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই পাঁচটি রাজ্যের প্রথম চারটিই বিরোধীশাসিত এবং শেষটির ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপির সহযোগী দল। প্রবন্ধে অবশ্য দাবি, এই মত একেবারেই ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্র এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন লেখক অর্থনীতিবিদদের। অন্য এক প্রবন্ধে ভারতের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় চড়া মূল্যবৃদ্ধি, ঢিমে আর্থিক বৃদ্ধি ও উঁচু বেকারত্ব (স্ট্যাগফ্লেশন) সামলানোর ক্ষেত্রে ভাল জায়গায় বলেও জানানো হয়েছে।

Advertisement

প্রবন্ধ বলছে, শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতিই দেখিয়ে দিচ্ছে সরকারের ঋণে রাশ টেনে রাখা কতটা জরুরি। ভারতেও রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে সেই কথা প্রযোজ্য। করোনার মধ্যে ইতিমধ্যে কর সংগ্রহ কমা, বিভিন্ন খাতে খরচের বাধ্যবাধকতা এবং ভর্তুকি খাতে বেড়ে চলা ব্যয় নিয়ে জেরবার হতে হচ্ছে তাদের। তার উপরে কিছু রাজ্যে ‘বিনামূল্যে বাড়তি খরচ’, বাধ্যতামূলক ব্যয়, পুরনো পেনশন প্রকল্পে ফেরা ও বিশেষত সরকারি বণ্টন সংস্থাগুলির বেড়ে চলা দায় সমস্যা বাড়াচ্ছে। ঋণের সেই তালিকায় প্রথম সারিতে থাকা ওই পাঁচ রাজ্যে গত পাঁচ বছরে সরকারের ঋণ রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ আয়ের থেকে দ্রত হারে বেড়েছে।

যদিও পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতে, “কোভিডের কারণে যে আর্থিক বিপর্যয় চলছিল, তখন অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে মানুষের হাতে নগদ পৌঁছনোর দাওয়াই দিয়েছিলেন বহু অর্থনীতিবিদ, যাঁদের মধ্যে নোবেলজয়ী ব্যক্তিরাও ছিলেন। আমরা সেই কাজটা নিপুণ ভাবে করেছি। রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের উপরে চাপ বাড়ানোর বিপক্ষে।’’

Advertisement

প্রবন্ধে অবশ্য দাবি, ঝুঁকি সংক্রান্ত রিপোর্ট বলছে ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে ওই রাজ্যগুলির জিডিপি-র সাপেক্ষে ঋণ ছাড়াতে পারে ৩৫%। এই পরিস্থিতিতে তাদের দ্রুত খরচ সামলানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জোর দিতে বলা হয়েছে মাঝারি মেয়াদে ঋণ কমানো ও বণ্টন সংস্থার সংস্কারের ব্যবস্থা করা এবং দীর্ঘ মেয়াদে মূলধনী ব্যয় বাড়িয়ে স্থায়ী সম্পদ তৈরিতে। যাতে কিনা রাজস্ব আসে সরকারের ঘরে। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলিকে নিয়মিত ঝুঁকি পরীক্ষা করানোর পরামর্শও দিয়েছে প্রবন্ধটি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন