শুরু হয়েছে আগেই। টেলিকম শিল্পে সেই মাসুলের লড়াই এ বার আরও তেতো হওয়ার ইঙ্গিত মিলল। যেখানে ইতিমধ্যেই লোকসানের বিপুল বোঝায় ধুঁকছে অধিকাংশ পুরনো টেলি সংস্থা।
বাজারে জিয়োর সস্তার পরিষেবা চালুর পরেই দানা বেঁধেছিল মাসুল যুদ্ধ। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ভোডাফোন, এয়ারটেল, আইডিয়ার মতো পুরনো সংস্থাগুলি মাসুল কমাতে বাধ্য হয়। এ বার ফের ১৫ মে থেকে সস্তার ‘পোস্ট-পেড’ ও আন্তর্জাতিক ফোনের পরিষেবা আনছে জিয়ো। খরচ মাসে ১৯৯ টাকা। যেখানে এখন সব থেকে কম টাকার প্রকল্প ৩০৯ টাকা। সংস্থা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক কলের ক্ষেত্রে কোনও আগাম জমা দিতে হবে না। ফোনের খরচও কম।
আর তাতেই নতুন করে ‘রক্তক্ষয়ী’ মাসুল যুদ্ধের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। উপদেষ্টা সংস্থা জে পি মর্গ্যানের দাবি, এতে ধাক্কা খাবে পুরনো সব টেলি সংস্থা।
আন্তর্জাতিক পরিষেবার মাসুল ৫০% কমলে পুরনো সংস্থাগুলির আয় প্রায় ২% কমতে পারে, মনে করছে গোল্ডম্যান স্যাক্স। তাদের হিসেবে, মোট পোস্ট-পেড ব্যবসার ১০-১৫% আসে আন্তর্জাতিক কল থেকে। তাই মাসুল কমলে আয়ও কমবে।
সিএলএসএ-র উপদেষ্টা দীপ্তি চতুর্বেদী ও অক্ষত অগ্রবাল জানান, গ্রাহকদের ১০-১৫% পোস্ট-পেড হলেও, তাঁদের থেকে এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার মোট ব্যবসার ২০% আসে। মাসুল যুদ্ধে গ্রাহক পিছু গড় আয় কমবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। জিয়োর মাসুলের সঙ্গে সমতা আনলে এয়ারটেলের ব্যবসা ১% কমবে, ইঙ্গিত মর্গ্যান স্ট্যানলিরও।