কল-কারখানায় উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধির পথে এখনও বাধা লাল ফিতের ফাঁস। বৃদ্ধির চাকায় গতি বাড়াতে সহজ হওয়া চাই ব্যবসা করার পথও। সব মিলিয়ে তাই জোর দিতে হবে আর্থিক সংস্কারে। দেশের অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষের বার্ষিক রিপোর্টে এই দাওয়াই দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
তবে সুদ কমানোর জন্য কেন্দ্র ও শিল্পমহলের তরফ থেকে চাপ থাকলেও, শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ঘাটতি বর্ষার কারণে জিনিসপত্রের দাম (বিশেষত খাদ্যপণ্য) ফের মাত্রাছাড়া হচ্ছে কি না, আপাতত সে দিকে কড়া নজর রাখছে তারা। খেয়াল রাখছে, সুদ কমানোর সুবিধা আদৌ কতটা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি। ফের সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখবে তারা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, কিছুটা হলেও ফিরতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতির হাল। কর আদায় বেড়েছে। আগ্রহ বাড়ছে বিনিয়োগে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতেও তারা দৃঢ়সংকল্প। ৩৫ হাজার কোটি ডলার ছাপিয়েছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। কিন্তু এই ভাল ভিতের উপর দাঁড়িয়েও বৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত করতে শ্রম আইন সংস্কার, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজা, কর ব্যবস্থার সরলীকরণের মতো বিষয় দ্রুত সেরে ফেলা জরুরি।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের দাবি, এ পর্যন্ত বৃষ্টি যে রকম হয়েছে, তাতে দেশের বড় অংশে খরার সম্ভাবনা ফিকে হয়েছে ঠিকই। কিন্তু মহারাষ্ট্র-সহ অনেক রাজ্যে বৃষ্টি কম হয়েছে। আগামী দিনে মূল্যবৃদ্ধির উপর তার প্রভাব কেমন হয়, সে দিকে নজর রাখছে তারা। আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজনও জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদ কমানো এখন তাঁদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।