revenue loss

চোরাচালানে রাজস্ব ক্ষতি, দাবি রিপোর্টে

তবে রাজস্ব ক্ষতির নিরিখে হিসাব কষলে দেখা যাচ্ছে, সরকার যে কর হারিয়েছে তার ৪৯ শতাংশই হয়েছে তামাকজাত পণ্য এবং অ্যালকোহলের চোরাচালানের ফলে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৪১
Share:

সরকার যে কর হারিয়েছে তার ৪৯ শতাংশই হয়েছে তামাকজাত পণ্য এবং অ্যালকোহলের চোরাচালানের ফলে। প্রতীকী ছবি

চোরাচালান এবং ভুয়ো পণ্যের বিক্রিবাটার জেরে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সরকার ৫৮,৫২১ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বলে জানানো হল বণিকসভা ফিকির এক রিপোর্টে। সেখানে ভোগ্যপণ্য, মোবাইল ফোন, তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল-সহ মূলত পাঁচটি ক্ষেত্রের কথা বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, পুরো শিল্প ক্ষেত্রের হিসাব কষা হলে সরকারের ক্ষতির বহর আরও বড় দেখাবে।

Advertisement

বুধবার ফিকির চোরাচালান এবং নকল পণ্য বিরোধী কমিটির তরফে প্রকাশ করা ‘ইলিসিট মার্কেট: আ থ্রেট টু আওয়ার ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’ শীর্ষক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সারা দেশে পাঁচটি ক্ষেত্রে এই ধরনের পণ্যের অবৈধ ব্যবসার মোট অঙ্ক ছিল ২.৬০ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই ভোগ্যপণ্য। ১.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা। তবে রাজস্ব ক্ষতির নিরিখে হিসাব কষলে দেখা যাচ্ছে, সরকার যে কর হারিয়েছে তার ৪৯ শতাংশই হয়েছে তামাকজাত পণ্য এবং অ্যালকোহলের চোরাচালানের ফলে। বলা হয়েছে, এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কর্মসংস্থানের উপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলে।

রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, চোরাচালান এবং নকল পণ্যের বাজারের ফলে শুধু যে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি ধাক্কা খাচ্ছে তা নয়। কাঁচামাল-সহ বিভিন্ন সূত্রে এই প্রতিটি ক্ষেত্রের সঙ্গে অন্যান্য যে সমস্ত ক্ষেত্র জড়িয়ে রয়েছে, বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাদের উপরেও। এই সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিকে চাহিদা ও জোগানের ফারাক পূরণে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে ক্রেতা সচেতনতায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন