Dollar- Money

আরও পতন টাকার দামে! মুদ্রার নজিরবিহীন পতনে আশঙ্কা বাড়ছে ভারতের অর্থনীতি নিয়েই

বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ভারতীয় মুদ্রার এত দ্রুত এতখানি অবমূল্যায়ন অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। তার দাম কত তলানিতে ঠেকবে, সেই প্রশ্নে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:১৪
Share:

এক ডলার ৭ পয়সা বেড়ে ৮৪.৪৬ টাকা হল। —প্রতীকী চিত্র।

ডলারের সাপেক্ষে আরও নীচে নেমে টাকার দাম সর্বনিম্ন হওয়ার নতুন নজির গড়ল বৃহস্পতিবার। এক ডলার ৭ পয়সা বেড়ে ৮৪.৪৬ টাকা হল। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ভারতীয় মুদ্রার এত দ্রুত এতখানি অবমূল্যায়ন অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। তার দাম কত তলানিতে ঠেকবে, সেই প্রশ্নে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। এ দিন আরও নেমেছে শেয়ার বাজারও।

অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরীর বক্তব্য, দুর্বল টাকা পণ্যের দামকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ভারতীয় মুদ্রাকে ধাক্কা দিতে পারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আর্থিক নীতি। তাঁর মতে, ট্রাম্প যদি বিদেশি পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ান তা হলে সে দেশেও জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। তখন তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পক্ষে সুদ কমানো কঠিন হবে। অজিতাভর দাবি, ‘‘ফেড সুদ চড়া রাখলে ভারতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষে সুদ কমানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর সুদ না কমলে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি আসার পথেও বাধা তৈরি হবে। কমবে ডলার আমদানি। তাতে ডলার আরও বেড়ে টাকাকে নীচে ঠেলবে। এখন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারতের বাজারে লাগাতার শেয়ার বিক্রিও টাকার পতনের অন্যতম কারণ।’’

অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, ‘‘ট্রাম্প আমেরিকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলবেন বলে আশা অনেকের। তাই সে দেশের মুদ্রা আরও শক্তিশালী হবে মনে করছেন লগ্নিকারীরা। এর জেরে ডলারে লগ্নি বাড়ছে। চড়া লাভের আশায় হাতের ডলার ধরে রাখছেন একাংশ। এই সবই তার দাম বাড়িয়ে টাকার পতন ঘটাচ্ছে।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, টাকাকে রক্ষা করতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে হস্তক্ষেপ করতেই হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন