তিন দিনে ২,০০০ পয়েন্টের বেশি হারানোর পরে অবশেষে সামান্য উঠল শেয়ার বাজার। যদিও ছোট ও মাঝারি স্টকগুলির রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে। চাপ কমেনি ব্যাঙ্ক নয় এমন সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিরও (এনবিএফসি)। এরই মধ্যে আরও পড়েছে টাকা। ডলার দিন শেষ করেছে ৭৪-এর কোঠায়।
বাজার সূত্রের খবর, অশোধিত তেল ও শক্তিশালী ডলারের চাপেই এ দিন আরও পড়েছে টাকার দাম। ১ ডলারের দাম বেড়েছে ৩০ পয়সা। শেষ পর্যন্ত তা দাঁড়িয়েছে ৭৪.০৬ টাকা। যা সর্বকালীন রেকর্ড। এই নিয়ে পর পর পাঁচ দিন ডলারের নিরিখে টাকার দাম কমল।
এ দিকে সোমবার ৯৭.৩৯ পয়েন্ট উঠে ৩৪,৪৭৪.৩৪ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে সেনসেক্স। নিফ্টি ৩১.৬০ পয়েন্ট উঠে বন্ধ হয়েছে ১০,৩৪৮.০৫ অঙ্কে। তবে সারা দিনই সূচকের চলাফেরায় অস্থিরতা বজায় ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ৬৬০ পয়েন্ট ওঠানামা করেছে সেনসেক্স। তেল, গ্যাস, ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্টকগুলি কিছুটা বাড়লেও পড়েছে ধাতু, রিয়েল এস্টেট, মূলধনী পণ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ার।
পাশাপাশি ধাক্কা খেয়েছে এনবিএফসিগুলির শেয়ারের দরও। এ দিন তা পড়েছে প্রায় ১৮.৫%। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শুক্রবার ঋণনীতি ঘোষণার সময়েই সংস্থাগুলির বিধি কড়া করার কথা জানায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার জেরেই শেয়ারের এই পতন। উল্লেখ্য, শীর্ষ ব্যাঙ্ক বলেছিল, অনেক ক্ষেত্রেই দীর্ঘকালীন প্রকল্পগুলিতে ঋণ দেওয়ার জন্য স্বল্প মেয়াদি ঋণ নিয়ে থাকে সংস্থাগুলি। যা একেবারেই সূদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা নয়।