Bank Account

দ্রুত ‘অদৃশ্য’ হচ্ছে ব্যাঙ্কে জমানো টাকা, সেভিংসের ‘আর্থিক ক্ষয়’ থেকে কী ভাবে বাঁচবেন গ্রাহক?

সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ধীরে ধীরে উবে যাবে বলে এ বার সতর্ক করলেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। কেন সেখানে টাকা জমালে হবে শুধুই আর্থিক ক্ষতি? বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথায় লগ্নি করা লাভজনক?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ১৬:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমানোকে অনেকেই নিরাপদ বলে মনে করেন। কিন্তু আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, এটা কতকটা রোদে বরফ রাখার মতো! সেভিংস অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়া তো দূরে থাক, উল্টে তা কমে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। এই ‘আর্থিক ক্ষয়’ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে লগ্নির পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

বিশ্লেষকদের দাবি, সেভিংস অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের মূল্য মূলত দু’টি কারণে হ্রাস পায়। প্রথমত, এর সুদের হার অত্যন্ত কম। দ্বিতীয়ত, ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির জেরে সেখানে জমানো টাকার মূল্য দিন দিন কমতে থাকে। উল্লেখ্য, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআইয়ের গ্রাহকেরা সেভিংস অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের উপরে বছরে মাত্র ২.৫ শতাংশ সুদ পান। এইচডিএফসি, আইসিআইসিআই এবং অ্যাক্সিসের মতো বেসরকারি ব্যাঙ্কে সেভিংসের সুদের হার ২.৭৫ শতাংশের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে বলে জানা গিয়েছে।

একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যেতে পারে। যদি কোনও ব্যক্তি এসবিআই সেভিংস ব্যাঙ্কে এক লক্ষ টাকা রাখেন, তা হলে বছরের শেষে সুদবাবদ পাবেন মাত্র ২,৫০০ টাকা। অর্থাৎ মাসে মাত্র ২০৮ টাকা আয় করবেন তিনি। ফলে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা তাঁর পক্ষে বেশ কঠিন। এর জেরে সংসার খরচ বাড়লে ধীর গতিতে আর্থিক ক্ষয়ের মুখে পড়বে তাঁর জমানো অর্থ।

Advertisement

বর্তমান পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির হার বছরে গড়ে ৫-৬ শতাংশ থাকবে বলে মনে করেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। সে ক্ষেত্রে সেভিংসে জমানো অর্থ থেকে ২.৫ শতাংশ বা ২.৭ শতাংশ হারে কেউ আয় করেন, তা হলে তাঁর পক্ষে সংসার চালানো বেশ দুষ্কর হবে। মুদ্রাস্ফীতির জন্য আজকের ১০০ টাকার মূল্য আগামী বছর ৯৪ টাকায় নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়তে সামান্য কিছু অর্থ সেভিংসে রেখে বাকি টাকা বিভিন্ন জায়গায় লগ্নির পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে পারে। সেখান থেকে খুব কম করে বছরে সাত থেকে আট শতাংশ রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এই খাতে লগ্নি বাজার গত ঝুঁকি সাপেক্ষ। ফলে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়ার নজির রয়েছে।

এ ছাড়া রাত্রিকালীন তহবিল (ওভারনাইট ফান্ড), স্বল্পমেয়াদি ঋণ তহবিল এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ভাসমান রেট বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন গ্রাহক। প্রথাগত লগ্নির ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের স্থায়ী আমানতেও টাকা রাখা যেতে পারে। অতি-রক্ষণশীল বিনিয়োগকারীরা এটি পছন্দ করে থাকেন। স্থায়ী আমানতের সুদ বাবদ মাঝারি আয়ের সুযোগ রয়েছে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement