Jio

জিয়ো-আরকম স্পেকট্রাম চুক্তি দেখতে চাইল শীর্ষ আদালত

টেলিকম দফতরের (ডট) হিসেব অনুযায়ী তাদের বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি মেটাতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জিয়ো ছাড়া বাকি সব সংস্থা এখনও পুরোটা মেটায়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২০ ০৪:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

তিন বছর ধরে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সের (আরকম) স্পেকট্রাম ব্যবহার করছে রিলায়্যান্স জিয়ো। তা হলে কেন সরকারের কাছে আরকমের বকেয়া মেটাতে জিয়োকে বলা হবে না, প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আরকম ও জিয়োর স্পেকট্রাম ভাগাভাগির চুক্তি বিস্তারিত ভাবে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রকেও এ নিয়ে হলফনামা দিতে বলেছে তারা। তবে ভোডাফোন আইডিয়া, এয়ারটেল, টাটা টেলি সার্ভিসেসের স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ কেন্দ্রের বকেয়া দীর্ঘ কিস্তিতে মেটানোর প্রস্তাব নিয়ে আজও রায় দেয়নি শীর্ষ আদালত।
টেলিকম দফতরের (ডট) হিসেব অনুযায়ী তাদের বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি মেটাতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জিয়ো ছাড়া বাকি সব সংস্থা এখনও পুরোটা মেটায়নি। তাদের কিস্তিতে তা মেটানোর প্রস্তাবের সঙ্গে আর-কম, এয়ারসেল, ভিডিয়োকনের মতো বন্ধ বা দেউলিয়া হওয়া সংস্থাগুলির বকেয়া মেটানো নিয়েও ওই বেঞ্চে শুনানি চলছে।
আর-কমের আইনজীবী শীর্ষ আদালতকে জানান, ২০১৬ সালে সংস্থার কিছু স্পেকট্রাম ব্যবহারের চুক্তির কথা কেন্দ্রকে জানানো হয়। ফি-ও দেওয়া হয়। কিন্তু তিন বছর ধরে জিয়ো যখন আর-কমের স্পেকট্রাম ব্যবহার করছে, তখন তাদের কেন আর-কমের বকেয়া মেটাতে বলা যাবে না, তা জানতে চায় শীর্ষ আদালত।
জিয়োর আইনজীবী জানান, সংস্থা ইতিমধ্যেই বকেয়া মিটিয়েছে। তবে আদালতের ওই প্রশ্নের বিষয়টির উত্তর সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে। তাঁদের সংস্থা সব নিয়ম মেনে চলেছে ও প্রয়োজনীয় ফি দিয়েছে, জানিয়ে বেঞ্চকে স্পেকট্রাম ভাগাভাগি ও ব্যবহারের নির্দেশিকা বোঝানোর চেষ্টা করেন। বেঞ্চ আবার বলে, স্পেকট্রাম ব্যবহার করলে কী ভাবে জিয়ো সেই দায় এড়াতে পারে!
সূত্রের খবর, দেউলিয়া হওয়ায় স্পেকট্রামের ভাগ ঋণদাতা নাকি কেন্দ্র, কে পাবে তা নিয়েই জট। কারণ ঋণদাতারা তা পেলে কেন্দ্র বকেয়া হারাবে। আবার স্পেকট্রাম কেন্দ্রেরই হলে ঋণদাতাদের হিসেবের খাতায় সমস্যা হবে। কেন্দ্র অবশ্য আদালতকে জানিয়েছে, স্পেকট্রাম সরকারি সম্পত্তি। তাই দেউলিয়া আইনে তা বেচা যাবে না। স্পেকট্রাম সরকারি সম্পত্তি জানিয়ে শীর্ষ আদালতও বলেছে, যে কেউই তা ব্যবহার করবে, তারা বকেয়া মেটাতে দায়বদ্ধ।
দেউলিয়া প্রক্রিয়ায় থাকা অন্যান্য সংস্থাকেও শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, তাদের স্পেকট্রাম কারা ব্যবহার করছে, তার বিস্তারত তথ্য জানাতে হবে। একই তথ্যের সঙ্গে কার কত বকেয়া জমা পড়েছে, বিস্তারিত ভাবে ডটকে জানাতে বলেছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন