Semiconductor

রাজ্যে সেমিকনডাক্টর নীতি, লগ্নির ডাক মন্ত্রীর

কম্পিউটার, মোবাইল ফোন-সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের হার্ডওয়্যার তৈরির পরিসরে এখন আর বৈদ্যুতিন প্রযুক্তির নকশা তৈরির ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যে শীঘ্রই চালু হতে চলেছে সেমিকনডাক্টর নীতি। সোমবার কলকাতায় ভিএলএসআই ডিজ়াইন (ভেরি লার্জ-স্কেল ইন্টিগ্রেশন ডিজ়াইন) সম্মেলনের উদ্বোধন করতে এসে সে কথা জানিয়ে এই ক্ষেত্রে লগ্নি চাইলেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সম্মেলনটি চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

Advertisement

কম্পিউটার, মোবাইল ফোন-সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের হার্ডওয়্যার তৈরির পরিসরে এখন আর বৈদ্যুতিন প্রযুক্তির নকশা তৈরির ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ নেই। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিস্তারের হাত ধরে সার্বিক ভাবে প্রসারিত হচ্ছে তার কর্মকাণ্ড। তাই সে ক্ষেত্রে সেমিকনডাক্টর প্রযুক্তি ও শিল্পের চাহিদাও বাড়ছে। যা ভারত-সহ গোটা বিশ্বের শিক্ষা ও শিল্প ক্ষেত্রকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়েই চর্চা চলবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই ভিএলএসআই ডিজ়াইন মূলত সেমিকনডাক্টর নির্ভর। তাই ওটা পাখির চোখ।

অনুষ্ঠানে এক ভিডিয়ো বার্তায় কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি সচিব এস কৃষ্ণন জানান, মোদী সরকার ২০১৯ সালেই সেমিকনডাক্টর নীতি চালু করেছে। এই ক্ষেত্রের হাত ধরে কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ খুলে গিয়েছে। এ দিন বাবুলের দাবি, তাঁরা রাজ্যে সেমিকনডাক্টর শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ ভাবে আগ্রহী। এগুলি তৈরির সংস্থাগুলিকে পশ্চিমবঙ্গে কারখানা খুলতে ডাক দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের ২২টি তথ্যপ্রযুক্তি পার্কের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এখানে কারখানা গড়ার জন্য ওই সব সংস্থার জমি পেতে কোনও অসুবিধা হবে না। রাজ্য তাদের সব রকম ভাবে সহযোগিতা করবে। বাবুল বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে উন্নত মানের বেশ কিছু এঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। এই রাজ্য থেকে মেধা যাতে ভিন্ রাজ্যে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ আগ্রহী। বড় সংস্থার পাশপাশি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (এমএসএমই) সংস্থাতেও সেমিকনডাক্টর তৈরি হয়। রাজ্য যে সব শিল্পের উপরে জোর দিচ্ছে, তার অন্যতম হল এমএসএমই।’’

Advertisement

কৃষ্ণন জানিয়েছেন, দেশে ইতিমধ্যেই ২০০টি সেমিকনডাক্টর কারখানা চালু হয়েছে। আরও বহু চালু হবে। আগামী পাঁচ বছরে ভারতে এই শিল্পে নতুন ১.২৫ লক্ষ জন এঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন পড়বে। সেমিকনডাক্টর শিল্পকে উৎসাহ দিতেই কেন্দ্র সেটিকে উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক উৎসাহ প্রকল্পের (পিএলআই) আওতায় এনেছে বলেও জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন