গত এপ্রিল থেকে অক্টোবর, এই সাত মাসে ভারতের রাজকোষ ঘাটতি পৌঁছল ৫.২৫ লক্ষ কোটি টাকায়। আর সেই উদ্বেগই গ্রাস করল বৃহস্পতিবারের শেয়ার বাজারকে। সেনসেক্স পড়ল প্রায় ৪৫৩ পয়েন্ট। এক বছরে একদিনে সবচেয়ে বেশি। বন্ধ হল ৩৩১৪৯.৩৫ অঙ্কে। নিফ্টি ১৩৪.৭৫ কমে থামল ১০,২২৬.৫৫ পয়েন্টে। বাজারে মোট শেয়ার-মূল্য নেমে যাওয়ায় বিএসই-তে লগ্নিকারীরা খোয়ালেন ১.০৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।
রাজস্ব আদায় কমা ও খরচ বাড়ার জেরে মাত্র সাত মাসেই রাজকোষ ঘাটতি অর্থাৎ সরকারের আয়-ব্যয়ের ফারাক ছুঁয়েছে বাজেটে দাখিল পুরো অর্থবর্ষের মোট হিসেবের ৯৬.১%। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েন লগ্নিকারীরা। এতে ইন্ধন জোগায় বিশ্ব বাজারে তেলের দর আরও বাড়ার আশঙ্কা। কারণ, তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক ফের উৎপাদন ছাঁটতে পারে বলে ইঙ্গিত। অনিশ্চয়তা থেকেছে বৃদ্ধি নিয়েও। যে-পরিসংখ্যান জানানো হয় বাজার বন্ধের পরে।
ফলে দিনভর সাবধানি থেকেছেন লগ্নিকারীরা। কারণ, ৭ মাসেই ঘাটতি এতটা হওয়ায় তা জাতীয় আয়ের ৩.২ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য পূরণ নিয়েই সংশয়ে সকলেই। ডলারে টাকার দামও পড়ে যায় ১৫ পয়সা। এক ডলার হয় ৬৪.৪৬ টাকা।