১৩৭ কোটি মানুষ করের আওতায় আসেন না। —প্রতীকী চিত্র।
বাজেট পেশের পরে দু’সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। আয়কর খাতের প্রাপ্তি নিয়ে এখনও উৎফুল্ল মধ্যবিত্ত। এ বারের প্রাপ্তি এতটাই প্রত্যাশা ছাপানো ছিল যে, না পাওয়ার দিকগুলি নিয়ে এখনও চর্চা সে ভাবে শুরু হয়নি। বিশেষজ্ঞ মহলেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কম। এ বার কিন্তু সেই দিকগুলিতে আলো ফেলার সময় এসেছে।
আগামী অর্থবর্ষ থেকে আয়করে বিপুল ছাড় মিলবে। বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্যে নামানো হয়েছে কর। পুরোটাই নতুন কর কাঠামোতে। ফলে পুরনো কাঠামোয় আদৌ কত জন থাকবেন সে বিষয়টি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে নতুন কাঠামোয় চলে এলে পুরনোতে যে একগুচ্ছ ছাড় পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই মিলবে না। ফলে আয়কর আইনে ছাড়ের কথা থাকলেও বাস্তবে তার কোনও মূল্য থাকবে না। কিন্তু আর্থিক ক্ষেত্রে তার প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে একটু আলোচনার প্রয়োজন আছে—
বাজেটে ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র যে ১ লক্ষ কোটি টাকার আয় ত্যাগ করল, তা তাদের অন্য কোনও ভাবে পুষিয়ে নিতে হবে। সেই খরচ কিন্তু গুনতে হবে সব শ্রেণির মানুষকেই।
বহু মানুষ আগামী বছর করের আওতার বাইরে চলে যাবেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে তাঁদের যে আয় আসে, তার উপরে উৎসে যাতে কর কাটা না হয় তার জন্য সময়ে ফর্ম ১৫জি বা ১৫এইচ দাখিল করতে হবে। যাঁদের আয় নতুন করমুক্ত সীমা ৪ লক্ষের কম হবে তাঁরা অন্য প্রয়োজন না থাকলে আয়কর রিটার্ন না-ও দিতে পারেন। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে আয় যা-ই হোক, রিটার্ন জা বাধ্যতামূলক। সে সব ক্ষেত্র ছাড়া যাঁদের আয় ৪-১২ লক্ষের মধ্যে, তাঁদের রিটার্ন দাখিল করা উচিত।
(মতামত ব্যক্তিগত)
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে