প্রথমে দুই বর্ধমান। তার পরে কলকাতা-সহ রাজ্যের অন্যত্র। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস এবং গাড়িতে ব্যবহারের সিএনজি পাম্প চালু হতে পারে। সরকারি সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের জন্য উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর থেকে হলদিয়া, বোকারো, ধামড়া পর্যন্ত প্রকল্পের মূল পাইপলাইনটি তৈরি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল। সেই পাইপলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহের জন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছ থেকে আলাদা আলাদা দরপত্র চাইছে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ন্ত্রক পর্ষদ। নবম পর্যায়ের দরপত্রে দেশের ১২৯টি জেলার মধ্যে দুই বর্ধমানও ছিল। সরবরাহের বরাত পেয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি) ও আদানি গোষ্ঠীর কনসোর্টিয়াম। সোমবার আইওসি-র এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর (ওয়েস্ট বেঙ্গল) দীপঙ্কর রায় জানান, ২০২০-র শেষে বর্ধমানে ১২টি সিএনজি স্টেশন তৈরি হবে। প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহকের বাড়িতে পাইপলাইনে গ্যাস বণ্টন হবে।
এর পর দশম পর্যায়ে দরপত্র প্রক্রিয়ায় রয়েছে কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশ। আইওসি কর্তারা জানান, তাঁরা সেই প্রক্রিয়ায়ও অংশ নিতে আগ্রহী। ২০২১ সালে ওই সব এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান শুরু হবে বলে তাঁদের আশা।