আমানতের পরে এ বার ঋণেও সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক। ১ মার্চ থেকে ব্যাঙ্কে তহবিল সংগ্রহের খরচের ভিত্তিতে হিসেব করা (এমসিএলআর) ১ বছরের ঋণে সুদ ২০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৮.১৫%। স্টেট ব্যাঙ্কের পাশাপাশি ঋণে সুদ বাড়িয়েছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কও (পিএনবি)। ওই একই মেয়াদের ঋণে সুদ বেড়েছে ১৫ বেসিস পয়েন্ট। দাঁড়িয়েছে ৮.৩০%। ফলে বাড়তে চলেছে গাড়ি, বাড়ি -সহ বিভিন্ন ঋণের মাসিক কিস্তি।
কয়েক মাস ধরেই ঋণনীতিতে মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে চলা নিয়ে সতর্ক করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই ধারা চললে শীর্ষ ব্যাঙ্ক আগামী দিনে রেপো রেট (যে হারে স্বল্প মেয়াদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় শীর্ষ ব্যাঙ্ক) বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ব্যাঙ্কগুলি অবশ্য সেই পদক্ষেপের আগেই সুদ বাড়ানোর পথে হাঁটা শুরু করল।
সুদ বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে স্টেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি কে গুপ্তের দাবি, গত এক মাসে ব্যাঙ্কের হাতে থাকা নগদ আগের তুলনায় কমেছে। আগে যতটা বাড়তি থাকত, এখন তা আর নেই। বরং তা ঘাটতির দিকে। তার উপরে গত কয়েক মাসে বন্ডের রিটার্নও (ইল্ড) বেড়েছে ১২৫-১৫০ বেসিস পয়েন্ট। এই অবস্থায় সুদের হারে পরিবর্তন করা জরুরি ছিল। তবে আগামী কয়েক মাসে সুদ আর বাড়বে না বলেই তাঁর ধারণা।
এক ঝলকে
• আমানতে সুদ ৭৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক
• বিভিন্ন মেয়াদে ১ কোটি টাকার কম জমায় তা দাঁড়াল ৫.৭৫-৬.৫০%
• ১ কোটি বা তার বেশি জমায় এই হার ৫.৭৫-৬.৭৫%
• ঋণে সুদ বাড়ল ২০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত
• বিভিন্ন মেয়াদে তা দাঁড়িয়েছে ৭.৮০-৮.৩৫%
* তথ্যসূত্র: এসবিআই ওয়েবসাইট
** এ ছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত, বেসরকারি ব্যাঙ্কে নানা মেয়াদে জমা ও ঋণে সুদ বদলেছে
উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকে ঋণে সুদ গড়ে ৫-১০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক। আর প্রায় সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কই আমানতে ওই হার ১৫-১২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পথে হেঁটেছে।
বুধবার বিভিন্ন মেয়াদি আমানতে সুদ ৭৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। ১ কোটি টাকার কম জমায় নানা মেয়াদে সুদ বেড়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত। বিভিন্ন আমানতে সুদ ৪৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে পিএনবিও।
১ বছর থেকে ২ বছরের কম জমায় সুদ ১০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। তাদের নতুন হার ৬.৬০%। প্রবীণরা বাড়তি ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ পাবেন বলে জানিয়েছে তারা। আগামী দিনে দেশের আরও বেশ কিছু ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ানোর পথে হাঁটতে পারে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।