খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে লগ্নির ডাক রাজ্যের

দাতব্য নয়, ব্যবসার লক্ষ্য মুনাফা। বুধবার সিআইআইয়ের এক সভা থেকে রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে লগ্নির ডাক দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। সেই সঙ্গে বিনিয়োগ টানার রাস্তা তৈরি করতে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন মন্ত্রী এ দিন জানতে চেয়েছেন শিল্পমহলের চাহিদার কথাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৭ ০২:১৩
Share:

দাতব্য নয়, ব্যবসার লক্ষ্য মুনাফা। বুধবার সিআইআইয়ের এক সভা থেকে রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে লগ্নির ডাক দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। সেই সঙ্গে বিনিয়োগ টানার রাস্তা তৈরি করতে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন মন্ত্রী এ দিন জানতে চেয়েছেন শিল্পমহলের চাহিদার কথাও। তাঁর আশ্বাস, সেই চাহিদা মেনেই গড়ে তোলা হবে লগ্নির সহায়ক পরিবেশ।

Advertisement

এ দিনের সভায় সরকার পক্ষের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও কৃষকদের প্রতিনিধিরা। বাম আমলেও মন্ত্রী থাকা রেজ্জাক মোল্লা তৎকালীন রাজ্য সরকারের শিল্পায়ন নীতির সমালোচক ছিলেন। এ দিন অবশ্য শিল্পমহলের আস্থা জিততে চেষ্টার কসুর করেননি তিনি। শিল্প-কর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘আপনারা যদি মনে করেন পশ্চিমবঙ্গ ভাল জায়গা, তা হলেই এখানে আসবেন। না হলে নয়। আমাদের এখানে লগ্নি আসছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। বড় কোনও শিল্পে আসছে না। কিন্তু খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে সম্ভাবনা প্রচুর। আপনাদের লগ্নির জন্য কী করতে পারি, সেটা জানান। তা পূরণ করার চেষ্টা করব।’’ এর পাশাপাশি মন্ত্রীর দাবি, বর্তমান সরকার কৃষকদের উন্নতির লক্ষ্যে চাষের নতুন নীতি তৈরি করেছে।

সভার পরের আলোচন চক্রে ছিলেন গত বছর খোলা ‘জঙ্গিপুর মেগা ফুড পার্ক’-এর এমডি আমিরুল ইসলাম ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ফুড প্রসেসিং কর্পোরেশনের এমডি অনিমেষ ভট্টাচার্য। যে কর্পোরেশনের আওতায় রয়েছে মালদহ ফুড পার্ক। পরিকাঠামো তৈরি থাকলেও দুই পার্কেই এখনও বহু জায়গা ফাঁকা। জঙ্গিপুরে একটি ও মালদহে ৬টি সংস্থা জায়গা নিয়েছে। সভায় শিল্পমহলের দাবি, দু’জায়গাতেই জমির দাম চড়া। পাশাপাশি কলকাতা থেকে দূরত্ব, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ ঘিরে সমস্যা ইত্যাদিও লগ্নিকারীদের মনে কিছুটা সংশয় তৈরি করছে।

Advertisement

তবে দুই পার্কের শীর্ষ কর্তাদের দাবি, আগের চেয়ে জমির দাম কমানো হয়েছে। নানা পরিকল্পনা হচ্ছে লগ্নি টানারও। আমিরুল ইসলাম জানান, পেপসি, আইটিসি, পতঞ্জলির মতো সংস্থার সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন