—নিজস্ব চিত্র।
লগ্নির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রশ্নই নেই। সম্ভাবনা নেই এ রাজ্য সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হওয়ার। বরং অন্য সবখানের মতো এখানেও কোনও প্রকল্পে টাকা ঢালা সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার ব্যবসায়িক সম্ভাবনার ভিত্তিতে। শুক্রবার কলকাতায় এ কথা জানিয়ে গেলেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার সাইরাস মিস্ত্রি। তবে আদালতে বিচারাধীন সিঙ্গুর প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি তিনি।
এ দিন টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় মিস্ত্রি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ বা যে কোনও জায়গায় লগ্নির সিদ্ধান্ত ব্যবসায়িক হিসেব কষে হয়। এখানেও টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থা লগ্নি করছে তাদের বাণিজ্যিক চাহিদা অনুযায়ী।’’
টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হিসেবে রতন টাটার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর এই নিয়ে তৃতীয়বার এই শহরে টাটা গ্লোবাল বেভারেজেস-এর বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের মুখোমুখি হলেন মিস্ত্রি। গত দু’বছর পশ্চিমবঙ্গে লগ্নির সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এ বার কম হলেও মুখ খুলেছেন। দুই শেয়ারহোল্ডারের প্রশ্নের জবাবে স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ রাজ্যে লগ্নির ক্ষেত্রে বিরূপ ধারণার বশবর্তী হওয়ার প্রশ্নই নেই।
উদাহরণ হিসেবে টেনে এনেছেন গোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস-এর প্রসঙ্গ। বলেছেন, ‘‘এ রাজ্যে বড় প্রকল্প চালু করতে চলেছে টিসিএস।’’ উল্লেখ্য, রাজারহাটে ৪০ একরে নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি করছে টিসিএস। বাম আমলেই এই লগ্নির কথা ঘোষণা হয়েছিল। ১,৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি ওই ক্যাম্পাসে কাজ করবেন প্রায় ২০ হাজার কর্মী। আগামী বছরের মাঝামাঝি প্রকল্পের প্রথম পর্যায় চালুও হওয়ার কথা।
লগ্নি নিয়ে মুখ খুললেও, সিঙ্গুর প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন সাইরাস। তিনি বলেন, “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই কোনও মন্তব্য করতে পারব না।”