প্রতীকী ছবি।
‘টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ বা টিসিএসে ছাঁটাই! মোট কর্মী সংখ্যার দু’শতাংশ হ্রাস করছে দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। ফলে কাজ হারাবেন ১২ হাজারের বেশি কর্মী। এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃত্রিম মেধা বা এআইয়ের (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) দিকে আঙুল তুলেছেন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ছাঁটাই প্রক্রিয়া আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
এ-হেন কর্মী হ্রাসের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন টিসিএসের চিফ এগজ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও) কে কৃত্তিবাসন। রবিবার, ২৭ জুলাই ‘মানিকন্ট্রোল’কে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে কৃত্তিবাসন জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরের একেবারে গোড়া থেকেই (পড়ুন এপ্রিল) শুরু হয়েছে ছাঁটাই প্রক্রিয়া।
বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির মোট কর্মী সংখ্যা ৬ লক্ষ ১৩ হাজার। তার দু’শতাংশ অর্থাৎ ১২ হাজার ২০০ জন কাজ হারাবেন বলে একরকম স্পষ্ট করেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে টিসিএসের সিইও বলেন, ‘‘আমরা নতুন প্রযুক্তি বা আরও স্পষ্ট করে বললে এআইয়ের দুনিয়ায় ঢুকে পড়েছি। সেই কারণে কাজের ধরন বদলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমাদের দ্রুত প্রস্তুত হতে হবে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার করছি এবং ঘন ঘন তার দক্ষতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর জেরে কিছু জায়গায় কর্মী হ্রাসের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। আশা করি সেটা মধ্যবর্তী এবং সিনিয়র স্তরে সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে এটা মোটেই সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। বরং সিইও হিসাবে এটাই আমার কঠিনতম পদক্ষেপ।’’
বিশেষজ্ঞদের দাবি, টিসিএসে ছাঁটাইয়ের প্রভাব দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে ব্যাপক আকারে দেখতে পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী দিনে অন্যান্য সংস্থাগুলিও একই পথে হাঁটবে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে কাজ হারানো কর্মীদের সংখ্যা যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টাটা গোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি জানিয়েছে, ছাঁটাইপর্বে সংশ্লিষ্ট কর্মী নোটিস দিলে অতিরিক্ত ছুটির প্যাকেজ এবং বিমার সুবিধা পাবেন।