শুধু ম্যানেজমেন্ট বা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী নয়। এ বার ‘হেড হান্টার’ বা নিয়োগ সংস্থাগুলির নজরে উঠে এসেছে ছুতোর, রাজমিস্ত্রি, রং মিস্ত্রি-সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের বিভিন্ন শ্রমিকও। যাঁদের চাহিদা রয়েছে। জোগানও নেহাত কম নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়োগকারীদের সঙ্গে তাঁদের সংযোগের অভাব প্রকট।
এ বার এই অভাব দূর করতে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেছে মহীন্দ্রা গোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টেক মহীন্দ্রা। যেখানে মুঠোয় ধরা মোবাইল ফোনেই কাজের খোঁজ পাবেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের এই সব শ্রমিক। একই ভাবে উপযুক্ত কর্মীর খোঁজ পেয়ে যাবেন নিয়োগকর্তাও। আর এই যোগাযোগের সূত্র হিসেবেই ‘সরল রোজগার’ কার্ড এনেছে টেক মহীন্দ্রা।
এই সেতুবন্ধন কতটা জরুরি, সম্প্রতি তা তুলে ধরেছে বণিকসভা
সি আই আইয়ের সমীক্ষাও। ভারতে কাজের বাজারে থাকা ৫০ কোটি কর্মীর মধ্যে মাত্র ১৪% সংগঠিত ক্ষেত্রের। বাকি ৮৬% আছেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে। প্রতি বছর আবার ১ কোটিরও বেশি মানুষ এই কাজে যোগ দিচ্ছেন।
ছবিটা পশ্চিমবঙ্গে আরও প্রকট। ‘এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড আনএমপ্লয়মেন্ট সার্ভে ২০১১-’১২ সালের তথ্য বলছে, বেকারের সংখ্যায় এ রাজ্য উপরের দিকে। আর অসংগঠিত ক্ষেত্রে সারা দেশে পশ্চিমবঙ্গে শ্রমিক সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বিশাল এই ফারাকের কথা মাথায় রেখেই কলকাতায় সরল রোজগার কার্ড ছেড়েছে টেক মহীন্দ্রা। সংস্থার অন্যতম কর্তা ময়ূখ দাশগুপ্তের দাবি, দেশ জুড়ে ১০০টি ক্ষেত্রে ১ লক্ষ চাকরির সুযোগ রয়েছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ৪০০০ কাজের সুযোগ। এ সবই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য।
কী ভাবে কাজ করবে এই কার্ড?
৫০ টাকায় এই কার্ড কিনলে ক্রেতার যোগ্যতা ও অন্যান্য বিবরণ পৌঁছবে তথ্যভাণ্ডারে। যা দেখে কর্মী নিতে পারবেন নিয়োগকর্তা। মোবাইল রিচার্জ করার বিপণি থেকে কার্ডটি কেনা যাবে। ফোনে কথা বলেই নিজের বায়োডেটা তৈরি করতে পারবেন কার্ডের মালিক।
সংস্থার দাবি, এর মাধ্যমে ১৫,০০০ কাজের সুযোগ তৈরি হবে এ রাজ্যে। দেশের ৮০০টি জায়গায় ২০ লক্ষ গ্রাহক এর মধ্যেই এই কার্ড কিনেছেন।