Airtel

টেলি-জট খুলতে নির্মলা সাক্ষাৎ

সূত্রের খবর, আবাসনের মতো টেলি শিল্পও চায় সমস্যা মেটাতে তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কম সুদে ঋণের বিশেষ তহবিল গড়া হোক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরকারকে টেলিকম শিল্পের বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি মেটানো নিয়ে জট বহালই। যে টেলিকম দফতরের (ডট) হিসেবকে মান্যতা দিয়ে এই নির্দেশ, সেই দফতর সূত্রের খবর, সংস্থাগুলির বিভিন্ন সার্কলে বকেয়া হিসেবের পদ্ধতি নিয়ে বৈষম্য থাকায়, এখনও চূড়ান্ত হিসেব কষার কাজ চলছে। এর মধ্যেই বুধবার ভারতী এয়ারটেলের কর্তা সুনীল মিত্তল ও ভোডাফোন আইডিয়ার কুমার মঙ্গলম বিড়লা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে দেখা করেন। কী কথা হয়েছে জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, আবাসনের মতো টেলি শিল্পও চায় সমস্যা মেটাতে তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কম সুদে ঋণের বিশেষ তহবিল গড়া হোক।

Advertisement

এ দিকে, এই দিনই সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে প্রাক্তন অর্থসচিব সুভাষ গর্গ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, টেলি শিল্প গভীর সঙ্কটে। প্রায় দেউলিয়া হওয়ার মুখে ভোডাফোন আইডিয়া। যদিও তাঁর দাবি, এর কারণ শুধু বিপুল বকেয়া নয়। বরং সমস্যা আরও গভীর।

নির্দিষ্ট সময়ে বকেয়া না-মেটানোয় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে টেলি সংস্থাগুলি ও ডট।
টাকা দিতে বলা হয়েছে সংস্থাগুলিকে। তার পরেই জল্পনা দানা বেঁধেছে ভোডাফোনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিড়লা ও মিত্তল এ দিন একসঙ্গে নির্মলার কাছে যান না আলাদা ভাবে, তা স্পষ্ট নয়। মিত্তল টেলিকম সচিবের সঙ্গে দেখা করে যান নর্থ ব্লকে। পরে তাঁর দাবি, বকেয়া ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে কথা হয়নি। তবে এটা বলেছেন যে, সাড়ে তিন বছর ধরে এই শিল্প সঙ্কটে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির জন্য এই শিল্পের বেঁচে থাকার উপরে কেন্দ্রের নজর দেওয়া উচিত। বিড়লা বৈঠক নিয়ে কথাই বলতে চাননি। শুধু বলেছেন, ‘‘দেখা যাক কী হয়।’’

Advertisement

বিড়লা কিছু না-বললেও, বকেয়া উসুল করতে সংস্থার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি কেন্দ্র ভাঙাবে না, এই খবরে বিএসইতে সংস্থার শেয়ার দর ওঠে প্রায় ৩৮%। এনএসইতে ৪০%। এই উত্থান নিয়ে বিএসই ভোডাফোনের ব্যাখ্যা চাইলে তারা জানায়, দামে প্রভাব পড়ার মতো তথ্য গোপন রাখা হয়নি।

বাজারে জল্পনা, টেলি সংস্থাগুলি বকেয়া মেটালে রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখা সহজ হবে। তবে কেন্দ্র সেই যুক্তি মানেনি। এমনকি বাজেটে ২০২০-২১ সালে টেলিকম খাতে প্রায় দ্বিগুণ আয়ের লক্ষ্য ধরা হলেও, অর্থ মন্ত্রকের দাবি তা বকেয়ার হিসেব ধরে নয়। তা হলে কী ভাবে আয় বাড়বে? তার হিসেব অবশ্য স্পষ্ট নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন