ডানকুনির বিস্কুট কারখানার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে কয়েকশো শ্রমিক রয়েছেন। প্রতীকী ছবি।
প্রায় দেড় মাস ধরে উৎপাদন বন্ধই ছিল। আর সোমবার শ্রমিকদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে গ্যাঞ্জেস ভ্যালি ফুডস নামে ডানকুনির ওই বিস্কুট কারখানা সাময়িক ভাবে বন্ধ করার (টেম্পোরারি ক্লোজার) কথা ঘোষণা করলেন কর্তৃপক্ষ। এ দিন কাজে যোগ দিতে এসে নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা অবস্থানে বসেন।
কারখানাটিতে ব্রিটানিয়ার বিস্কুট তৈরি হয়। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে কয়েকশো শ্রমিক রয়েছেন। উৎপাদন বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা হাজিরা দিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। কয়েক জন স্বেচ্ছাবসরও নিয়েছেন।
সূত্রের খবর, শনিবার স্বেচ্ছাবসর নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্বীকৃত তিনটি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা পরে জানতে পারেন সকলের স্বেচ্ছাবসরের নিয়ে দু’পক্ষ সম্মত হয়েছে। এর পরেই ক্ষিপ্ত শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। যদিও ফ্যাক্টরি ম্যানেজার চন্দন সরখেলের সই করা নোটিসে দাবি, বৈঠকে সমঝোতার পরে শ্রমিকেরা জোর করে কারখানায় ঢোকার চেষ্টা করেন ও হুমকি দেন। ছ’জন এতে ইন্ধন দিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং ওই ছয় শ্রমিক-সহ সংশ্লিষ্ট লোকজন লিখিত ভাবে এমন ঘটনা ফের না-ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, নেতারা কথা না-বলেই স্বেচ্ছাবসরের সিদ্ধান্তে সই করেছেন। অনেকে বলেন, ‘‘আমরা চাই কারখানা চলুক। মালিকপক্ষ চান না। লাভজনক কারখানা বন্ধ হবে কেন?’’
কারখানার সিটু সম্পাদক হেমন্ত মাঝির দাবি, ‘‘কিছু শ্রমিক স্বেচ্ছাবসর নিতে চেয়েছিলেন। ৩৫ জনের ক্ষেত্রে সই করেছি। সকলের নয়।’’ স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য টুম্পা মেটে বলেন, ‘‘কারখানার উপরে এলাকার অর্থনীতি অনেকটা নির্ভরশীল। তা বন্ধ হলে সকলের ক্ষতি।’’ এ দিন উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব কারখানায় যান। জানান, ‘‘সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্রম-মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা বলব।’’