প্রতীকী ছবি।
ভারতে জালিয়াতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে। তা আটকাতে এ বার সংস্থার ডিরেক্টরদের পাসপোর্টের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক।
ললিত মোদী, বিজয় মাল্য থেকে শুরু করে নীরব মোদী-মেহুল চোক্সী— প্রতারণার পরে বিদেশে পালানোর অভিযোগের তালিকা বেশ লম্বা। কালো টাকা লেনদেন নিয়েও অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে। একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। কর্পোরেট বিষয়ক সচিব ইনজেতি শ্রীনিবাস বলেন, পরিচালন পর্ষদের সদস্যদের পাসপোর্টের তথ্য সংগ্রহ করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন তাঁরা।
তিনি জানান, পাসপোর্টের তথ্য থাকলে এই ধরনের ঘটনায়, অভিযুক্তের বিদেশে পালানো আটকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। তবে এই মুহূর্তে সেই প্রস্তাব কী অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি মন্ত্রক।
উল্লেখ্য, বিদেশে গা ঢাকা দেওয়া অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের জন্য ইতিমধ্যেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। কালো টাকার লেনদেন আটকাতে নিয়ম না মানার অভিযোগে নথিভুক্তি বাতিল হয়েছে প্রায় ২.২৬ লক্ষ সংস্থার। দীর্ঘ দিন লেনদেন না করা সংস্থার প্রায় ৩ লক্ষ ডিরেক্টরকে অযোগ্য তকমাও দিয়েছে কেন্দ্র।