—প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি মেয়াদি জমায় ফের ২০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। এপ্রিলে প্রথম দফায় কমিয়েছিল ২৫ বেসিস পয়েন্ট। জমায় সুদ কমানোর পথে হেঁটেছে এইচডিএফসি এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক-সহ আরও কেউ কেউ। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ২৫% করে টানা দু’বার রেপো রেট (যে সুদে ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয় আরবিআই) কমানোয় দেশ এখন ঋণ এবং জমা, দু’ক্ষেত্রেই কম সুদের জমানায় ঢুকে পড়েছে। খুচরো মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামানোয় তা আরও কমার সম্ভাবনা।
সুদ শব্দটা ছোট হলেও, সমাজ, শিল্প, সরকার, শেয়ার বাজারের কাছে তার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রয়োজন মত এর হেরফের ঘটিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বাজারে টাকার জোগান নিয়ন্ত্রণ করে। পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে সুদ বাড়ায়। কারণ, ঋণে সুদ বাড়লে তার চাহিদা কমে। জমায় সুদ বাড়লে মানুষ টাকা খরচের তুলনায় তা জমাতে বেশি আগ্রহী হয়। ফলে বাজারে টাকার জোগান এবং পণ্যের চাহিদা কমে। চাহিদা কমলে পণ্যের দাম কমে। উল্টোটা হয় পণ্যমূল্য কমলে। এখন যেমনটা হচ্ছে। দাম কমলে আরবিআই সুদ কমায়। ফলে টাকার জোগান বাড়ে। চাহিদা বাড়ে ঋণের। সুদ কমে আসায় শিল্প উপকৃত হয়। দেশে নতুন লগ্নি বাড়ে। অর্থনীতির বৃদ্ধির পথ চওড়া হয়। অন্য দিকে জমা টাকাতেও সুদ কমে। ফলে মানুষ জমানোর থেকে খরচ করতে বেশি আগ্রহী হয়। যে কারণে জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ে। শিল্প চাঙ্গা থাকে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ কম সুদের জমানা অর্থনীতির পক্ষে মঙ্গলজনক।
অনেক দেশই চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে হালে কিছুটা রাশ টানতে পেরেছে। যে কারণে ভারত, চিন, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এরই মধ্যে কিছুটা সুদ ছেঁটেছে। সুদ কমতে থাকলে অর্থনীতিতে সাধারণত যে সব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তা হল—
অর্থাৎ কম সুদের জমানায় বেশি লাভ দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা এবং বেশির ভাগ মানুষের। আগামী দিনে সুদ যেহেতু আরও নামতে পারে, তাই মেয়াদি জমায় লগ্নি করতে চাইলে দ্রুত তা সেরে ফেলা ভাল। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি বৈঠক ৪-৬ জুন। আপাতত সুদ আরও কমার আশায় বেশির ভাগ মানুষ সেই দিকেই তাকিয়ে।
(মতামত ব্যক্তিগত)
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে