—প্রতীকী চিত্র।
করোনার সংক্রমণ সামলাতে আড়াই মাসের লকডাউন শুরু হয়েছিল গত মার্চে। তার পরে ১০ মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু সংক্রমণের আশঙ্কায় হোটেল, রেস্তরাঁ ও পর্যটনস্থলগুলিতে এখনও সে ভাবে অতিথির দেখা মিলছে না বলে দাবি আতিথেয়তা শিল্পের। এই অবস্থায় কেন্দ্রের কাছে ফের আলাদা ঋণ পুনর্গঠন প্রকল্প এবং নির্দিষ্ট ত্রাণের দাবি জানাল ওই শিল্পের সংগঠন ফেডারেশন অব হোটেল অ্যান্ড রেস্টর্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এফএইচআরএআই)।
এফএইচআরএআইয়ের দাবি, হোটেল ও রেস্তরাঁর ব্যবসা করোনার আগের অবস্থার মাত্র ১৫-২০ শতাংশে পৌঁছেছে। অন্য ব্যবসায় পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি না-হলেও তা পরে কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু আতিথেয়তা শিল্পে নির্দিষ্ট মরসুম পার হয়ে গেলে তাদের পরিষেবা আর বিক্রি হয় না। ফলে ত্রাণ প্রকল্প তৈরির সময়ে তা বিবেচনা করা উচিত।
সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট গুরবক্সিশ সিংহ কোহলির বক্তব্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে এমনিতেই বিদেশি পর্যটক ৬.৬% কম এসেছিলেন। তার পর থেকে ব্যবসা কার্যত বন্ধ। কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে তা এখনই বলা অসম্ভব। ফলে এই শিল্পের কঠিন সঙ্কটের সময় এখনও কাটেনি।
শিল্পের আর্জি
• সংস্থাগুলির জন্য নির্দিষ্ট ঋণ পুনর্গঠন প্রকল্প তৈরি করুক কেন্দ্র।
• তার মাপকাঠির শর্তও সহজ করা দরকার।
• ২৫ কোটি টাকার কম ঋণ নেওয়া সংস্থাগুলির ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধি। ঠিক ছোট-মাঝারি শিল্পের মতো।
• গত মার্চ-সেপ্টেম্বরে সুদে সম্পূর্ণ ছাড়।
• অথবা গত অক্টোবর থেকে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদি আমানতের চেয়ে ২% বেশি অথবা সর্বোচ্চ ৯% হারে সুদ ধার্য।
সংগঠনের যুগ্ম সচিব প্রদীপ শেট্টির হিসেব, ২০১৯-২০ সালে আতিথেয়তা শিল্প মোট ১.৮২ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। এ বার তা ৩৬,৪০০ কোটি টাকার মতো হতে পারে। তার উপর আতিথেয়তা শিল্পের ঋণের বহর প্রায় ৫৫,০০০ কোটি টাকা। বহু সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অনুৎপাদক সম্পদ। প্রদীপ ও গুরবক্সিশের মতে, এর সঙ্গে পর্যটন মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ ঝুঁকির মুখে।