বন্ধ নয়, সংস্থা চাঙ্গাই লক্ষ্য দেউলিয়া আইনের

শনিবার কলকাতায় বণিকসভা সিআইআই-এর এক আলোচনাসভায় দেউলিয়া আইন সংক্রান্ত পর্ষদের চেয়ারম্যান এম এস সাহু-র দাবি, সংস্থা গুটিয়ে নেওয়া নয়, তাকে চাঙ্গা করাই দেউলিয়া আইনের উদ্দেশ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৮ ০৩:০৮
Share:

দেউলিয়া আইন কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি সংস্থার হাতবদলের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, আইন দ্রুত কার্যকর করতে গিয়ে কিছু সংস্থার ভবিষ্যৎও হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। তবে শনিবার কলকাতায় বণিকসভা সিআইআই-এর এক আলোচনাসভায় দেউলিয়া আইন সংক্রান্ত পর্ষদের চেয়ারম্যান এম এস সাহু-র দাবি, সংস্থা গুটিয়ে নেওয়া নয়, তাকে চাঙ্গা করাই দেউলিয়া আইনের উদ্দেশ্য।

Advertisement

সম্প্রতি দেউলিয়া আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) যাওয়া সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করার প্রস্তাব পাশের পদ্ধতিও সহজ হয়েছে। সাহুর দাবি, সংশোধিত আইনে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থার বর্তমান মালিক নিজের সংস্থা কেনার জন্য নিলামে অংশও নিতে পারবেন।

এক ঝলকে

Advertisement

• সংস্থা চাঙ্গার করার প্রস্তাবে ঋণদাতাদের কমিটির ৬৬% ভোট পেলেই চলবে।
আগে ছিল ৭৫%।

• ফ্ল্যাট, বাড়ির ক্রেতারা এবং কোনও সংস্থার স্থায়ী আমানত বা ঋণপত্রে টাকা ঢেলেছেন, এমন লগ্নিকারীরা পাওনাদার হিসাবে গণ্য হবেন।

• তাঁরা যেতে পারবেন এনসিএলটিতে। ঋণদাতাদের কমিটিতেও ওই সব ক্রেতা ও লগ্নিকারীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

• ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি সংস্থার মালিকেরা দেউলিয়া আইনে নিজেদের সংস্থা কিনতে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।

• ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছে, এমন সংস্থা কিনলেও ক্রেতার গায়ে তিন বছর পর্যন্ত ঋণখেলাপির তকমা পড়বে না।

দেউলিয়া আইন বিশেষজ্ঞ এবং ইনস্টিটিউট অব কোম্পানি সেক্রেটারিজ়ের প্রাক্তন সভাপতি মমতা বিনানি বলেন, ‘‘এনসিএলটির মাধ্যমে বিক্রি হওয়া ছোট-মাঝারি সংস্থা কেনার লোকের অভাব রয়েছে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলি গুটিয়ে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না। নতুন আইনে সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করে চালু রাখার সুযোগ থাকবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন