ছোট চা চাষিদের দাম জানাতে পশ্চিমবঙ্গেও প্রযুক্তির হাত ধরছে টি বোর্ড। শীঘ্রই ‘এসএমএস’ করে তাঁদের চা পাতার ন্যূনতম দাম জানানো হবে। অসম ও দক্ষিণ ভারতে আগেই চালু হয়েছে এই ব্যবস্থা।
ক্ষুদ্র চা চাষিদের থেকে বটলিফ কারখানা ও বড় বাগানগুলি পাতা কিনে চা তৈরি করে। প্রত্যেক মাসে সেই পাতার ন্যূনতম দাম কী হবে, তা আগের মাসের দামের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ‘ফর্মুলা’ মেনে টি বোর্ড অথবা ‘ডিস্ট্রিক্ট গ্রিন লিফ প্রাইস মনিটরিং কমিটি’ স্থির করে। সেই দর এখন পশ্চিমবঙ্গের চা কারখানাগুলির পাশাপাশি জেলা প্রশাসন কিংবা ওই কমিটিকে আলাদা ভাবে জানানো হয়। তাদের কাছ থেকে সেই খবর পান ক্ষুদ্র চাষিরা।
কিন্তু অনেক সময়েই চাষিদের কাছে ন্যূনতম দামের খবর পৌঁছয় না বলে অভিযোগ। ফলে অনেক সময়েই দালালদের খপ্পরে পড়ে কম দামে চা পাতা বিক্রি করতে হয় বাধ্য হন তাঁরা। কিংবা দেরিতে খবর পাওয়ায় তাঁদের ব্যবসা মার খায়। এই সমস্যা এড়াতেই টি বোর্ডে নথিভুক্ত ক্ষুদ্র চাষিদের মোবাইল নম্বরে সরাসরি একই সময়ে ন্যূনতম দাম জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টি বোর্ড। অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ ভারতে এ বছর তা চালু হলেও এ রাজ্যে এখনও হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থা প্রায় চূড়ান্ত। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের তা উদ্বোধন করার কথা।
সরকারি সূত্রের দাবি, সরাসরি মোবাইলে দাম জানলে চাষিদের ব্যবসা যেমন মার খাবে না, তেমনই মাসের গোড়াতেই তা জানতে পারলে সেই অনুযায়ী খরচেরও আগাম পরিকল্পনা করতে পারবেন। ফলে তাঁদের আর্থিক অবস্থাও মজবুত হবে।