Federation of Indian Export Organisations

চিনের নিয়ন্ত্রণ বিধিই ভারতীয় রফতানির কাঁটা

অতিমারি সারা বিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করেছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সেই সমস্যা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি চাহিদা কমিয়েছে বিভিন্ন দেশে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:১৪
Share:

চিনে ভারতের আমদানি এই প্রথম বাণিজ্য ঘাটতি ছাড়িয়েছে ১০,০০০ কোটি ডলার। প্রতীকী ছবি।

কম দামি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালের জোগানের ব্যাপারে চিনের উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ভারতীয় সংস্থাগুলি। কিন্তু গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চিন থেকে পণ্য আমদানি যে হারে বেড়েছে, সেই অনুপাতে সে দেশে রফতানি বাড়াতে পারেনি ভারত। উল্টে ২০২২ সালে তা সরাসরি কমেছে। পরামর্শদাতা সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) বক্তব্য, চিনের কড়া নিয়ন্ত্রণ বিধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজারের বিধিনিষেধের কারণেই ভারত রফতানি বাড়াতে পারছে না।

Advertisement

অতিমারি সারা বিশ্বের সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করেছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সেই সমস্যা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি চাহিদা কমিয়েছে বিভিন্ন দেশে। এই সবের জেরে বিশ্ব বাণিজ্য শ্লথ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই সমস্ত বাধা অতিক্রম করে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও বাণিজ্যের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু চিনে ভারতের আমদানি তো কমেছেই, এই প্রথম বাণিজ্য ঘাটতি ছাড়িয়েছে ১০,০০০ কোটি ডলার। রবিবার জিটিআরআই তাদের রিপোর্টে বলেছে, ‘‘রফতানি সংস্থাগুলি চিনে পণ্য সরবরাহ করতে গিয়ে যে বাধার মুখে পড়ছে, তা নিয়ে ভারতের উচিত দ্রুত বেজিংয়ের সঙ্গে কথা বলা। চিনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও ভারত সে দেশের অনুরূপ বিধি কাজে লাগাতে পারে।’’

পরামর্শদাতা সংস্থাটির ব্যাখ্যা, আমেরিকা, ইউরোপ-সহ একশোরও বেশি বাজারে রফতানি করে ভারত। ফলে পণ্যের মান কোনও সমস্যা নয়। কিন্তু ভারত-সহ কয়েকটি দেশের পণ্যের ক্ষেত্রে উঁচু হারে শুল্ক, কঠিন নিয়ন্ত্রণ বিধি, অভ্যন্তরীণ বাজারের সুরক্ষা বিধি রয়েছে চিনে। যেমন, সে দেশে ভারতীয় রফতানি সংস্থার নথিভুক্তিতেই দু’তিন বছর সময় লাগে। যেতে হয় কড়া পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে। একটি ব্যাচের পণ্যে সমস্যা থাকলেই সেই নথিভুক্তি বাতিলের আশঙ্কা থাকে। মূল বাধা এগুলিই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন