গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া ছ’মাসের সময়সীমা শেষ হচ্ছে সোমবার। কিন্তু এখনও ঝুলে ৭০টি ঋণখেলাপি সংস্থার ৩.৮ লক্ষ কোটি টাকার আনাদায়ি ঋণের ভাগ্য। এর মধ্যে ক’টির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলি রফাসূত্রে পৌঁছতে পারল, সোমবার সন্ধ্যায় তা জানা যেতে পারে।
দেশের ব্যাঙ্কগুলি অনুৎপাদক সম্পদের ভারে ন্যুব্জ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়া নির্দেশ, কোনও সংস্থা সময় মতো ঋণ শোধ করতে না পারলে পত্রপাঠ তাকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করতে হবে। এর পরে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা ঋণদাতাদের গোষ্ঠী সংস্থাটিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর রফাসূত্র খুঁজতে ঠিক ছ’মাস সময় পাবে।
এ রকমই ৭০টি খেলাপি সংস্থার ক্ষেত্রে রফাসূত্র খোঁজায় সময়সীমা সোমবার শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই বিদ্যুৎ ও টেলিকম সংস্থা। রফাসূত্র বার না হলে দেউলিয়া বিধি কার্যকর করে সংস্থাগুলিকে নিলামে চড়ানো হতে পারে। যা একেবারেই চাইছে না ব্যাঙ্কগুলি। কারণ, সে ক্ষেত্রে অনাদায়ি ঋণের বড় অংশই ঘরে ফেরানো যাবে না। তাদের আশা, সময়সীমা না বাড়ালেও ক্ষেত্র বিশেষে নরম হতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পদস্থ কর্তার দাবি, কয়েকটি ক্ষেত্রে রফাসূত্র মিলেছে। কিছু ক্ষেত্রে কথাবার্তা চূড়ান্ত পর্যায়ে। ব্যাঙ্কগুলির আশা, এই সমস্ত ক্ষেত্রে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সম্ভবত বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। কয়েকটি ঋণখেলাপি সংস্থা আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের গিয়েছে। সে কারণেও বাড়তি সময় পেতে পারে ব্যাঙ্কগুলি।