প্রতিবাদ: গ্যাসে ভর্তুকি ওঠার খবরে বিক্ষোভ পটনায়। ছবি: পিটিআই।
গরিবদের জন্য বহাল থাকছে গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি। তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ এই দাবি জানিয়ে বলেন, ‘‘দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের জন্য এলপিজি ও কেরোসিনে ভর্তুকি চালু থাকবে। এটি তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের নেই।’’
এখানে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মহিলাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার সূচনা করে প্রধান ২০টি এ ধরনের পরিবারের জন্য গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করেন। সেই উপলক্ষেই মন্ত্রী ভর্তুকি বহাল রাখার কথা বললেও সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, তিনি স্পষ্ট করেননি আয় ঠিক কত টাকার মধ্যে থাকলে এই সুবিধা মিলবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই ধর্মেন্দ্র প্রধানই নয়াদিল্লিতে ঘোষণা করেছিলেন, রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি তুলে দিতে এখন থেকে প্রতি মাসে সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা করে বাড়াতে থাকবে তারা। এখন দেশে ১৮.১১ কোটি জন বছরে ১২টি পর্যন্ত সিলিন্ডার ভর্তুকিতে পান। এর মধ্যে রয়েছেন ২.৫ কোটি গরিব মহিলা, যাঁরা প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় ‘বিনামূল্যে’ রান্নার গ্যাসের সংযোগ নিয়েছেন। বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ এনেছিল, মোদী সরকার এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে উজ্জ্বলা প্রকল্পের কথা প্রচার করছে। অথচ ওই প্রকল্পে সংযোগ নেওয়া অনেকেই এর পর চড়া দরের কারণে আর সিলিন্ডার কিনতেই পারবেন না। তা হলে তাঁরা সংযোগ নিয়ে কী করবেন, সে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
অন্য দিকে প্রধানের দাবি ছিল এখন সিলিন্ডার-প্রতি ৮৬.৫৪ টাকা ভর্তুকি গুনতে হয়। তা শূন্যে নামাতে পারলে, আরও অনেক বেশি গরিব মানুষের হেঁশেলে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া যাবে। তাই সেই লক্ষ্যে না-পৌঁছনো পর্যন্ত কিংবা অন্তত মার্চ অবধি দাম বাড়ানো হবে মাসে ৪ টাকা করে। তার পর আজকের এই ঘোষণা সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিলেও ভর্তুকি নিয়ে ধন্দ পুরোপুরি কাটেনি।