নভেম্বরে নোট বাতিলের পরে এমন ১৮ লক্ষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলিতে রাখা টাকার সঙ্গে গ্রাহকের আয়ের সঙ্গতি নেই। শুক্রবার লোকসভায় এ কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এই সময়ে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোটে মোট ১৪১.১৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও এ দিন জানিয়েছেন তিনি।
অর্থমন্ত্রীর পেশ করা খতিয়ান অনুযায়ী, ওই ১৪১ কোটি টাকার মধ্যে ১১০ কোটি ধরেছে আয়কর দফতর, ৪.৫৪ কোটি তদন্তকারী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আর ২৬.২১ কোটি টাকা ধরা পড়েছে সিবিআইয়ের হাতে।
গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট নাকচের ঘোষণার পরে অনেকে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন যে, সাধারণ মানুষের এত কৃচ্ছসাধনের পরে আখেরে কালো টাকা ধরা পড়ল কতটুকু? এর উত্তরে কেন্দ্রও দাবি করে আসছে যে, গড়মিল ধরা গিয়েছে অনেক জায়গায়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেখানে হানা দেওয়া। এ দিনও জেটলি বলেছেন, যাঁদের অ্যাকাউন্টের টাকার সঙ্গে আয়ের সঙ্গতি মেলেনি, ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে।