Business News

ঋণে ডুবছে সংস্থা, মুম্বইয়ে ৭ লক্ষ বর্গফুটের হেড অফিস বেচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় অনিল অম্বানী

বর্তমান সদর কার্যালয়টি মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের ধারেপ্রায় ৭ লক্ষ স্কোয়ার ফুটজুড়ে বিস্তৃত। এই অফিসই বিক্রির জন্য মার্কিন সংস্থা ‘ব্ল্যাকস্টোন’-এর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও এগিয়েছে বলে খবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯ ১৬:৫৪
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

ঋণের ভারে জর্জরিত অনিল অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স গ্রুপ। এমনই দৈন্যদশা যে কয়েক মাস আগে আদালতের নির্দেশে এরিকসন সংস্থার ৫৫০ কোটি টাকা মেটাতে পারেননি। তার মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন দাদা মুকেশ অম্বানী। এ বার ঋণের বোঝা লাঘব করতে নিজের সংস্থা রিলায়্যান্স অনিল ধিরুভাই অম্বানী গ্রুপের সদর কার্যালয় বিক্রি বা লিজে দিতে চান অনিল অম্বানী। সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। সেই অনুযায়ী ৭ লক্ষ বর্গফুটের ওই কার্যালয় বিক্রি বা লিজে দেওয়ারপ্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

Advertisement

রিলায়্যান্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই অম্বানীর দুই ছেলে মুকেশ এবং অনিলের ব্যবসা-বিচ্ছেদ হয় ২০০৫ সালে। ওই সময় পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে দক্ষিণ মুম্বইয়ের ব্যালার্ড এস্টেট পান অনিল। তাঁর বর্তমান কার্যালয় বিক্রি করে সদর কার্যালয় ওখানেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সংস্থা সূত্রে খবর।

অন্য দিকে, বর্তমান সদর কার্যালয়টি মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের ধারেপ্রায় ৭ লক্ষ স্কোয়ার ফুটজুড়ে বিস্তৃত। এই অফিসই বিক্রির জন্য মার্কিন সংস্থা ‘ব্ল্যাকস্টোন’-এর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও এগিয়েছে বলে খবর। সংস্থার একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিক্রি বা লিজের জন্য পরামর্শদাতা সংস্থা জেএলএল-কে নিয়োগ করেছে অনিলের সংস্থা।

Advertisement

এই অফিসটি নিয়ে অবশ্য কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। তবে সে সব কাটিয়ে বিক্রি করতে পারলে অবশ্য ১৫০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকা অনিল পেতে পারেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে সেই টাকায় অনিলের সংস্থাগুলির দেনা কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলেই মনে করছেন শিল্প মহলের বিশেষজ্ঞরা। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালের রিলায়্যান্স গ্রুপ অব কোম্পানিজ-এর মোট দেনা ছিল ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: ১৪ হাজার কোটির ব্যাঙ্ক দুর্নীতিতে ইডি-র জেরার মুখে অভিনেতা ডিনো মোরিয়া

আরও পড়ুন: ‘কাচ্চা খিলাড়ি’, ব্যাট দিয়ে পেটানো-কাণ্ডে ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন কৈলাস

২০০৫ সালে শিল্প জগতের অন্যতম বৃহৎ অম্বানী ভাইদের বিচ্ছেদের তিন-চার বছর পরেও লাভজনক ছিল অনিলের সংস্থাগুলি। এমনকি, ২০০৮ সালে অনিল ছিলেন বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি। তখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ২ লক্ষ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু গত ১১ বছরে ধীরে ধীরে পড়তির দিকে যেতে থাকে অনিলের সংস্থাগুলি। বর্তমানে তাঁর সব সংস্থার মোট মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার মতো। বর্তমানে রিলায়্যান্স ক্যাপিটাল, রিলায়্যান্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার, রিলায়্যান্স পাওয়ার, রিলায়্যান্স কমিউনিকেশনের মতো প্রায় সব ক’টি সংস্থা ঋণের দায়ে ধুঁকছে। সেই আর্থিক সংকটকাটিয়ে ঘুরে দাড়ানোর লড়াইয়ে অনিল কিছুটা হলেও রসদ পাবেন বলে মনে করছে শিল্পমহল।

(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় ২০০৮ সালে অনীল অম্বানীর সম্পত্তির পরিমাণ লেখা হয়েছিল ৩০০ কোটি টাকা, যা সঠিক তথ্যের তুলনায় অনেকটাই কম। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন