প্রতীকী চিত্র।
আগামী দিনে ভারতেও আকাশে ওড়ার সময় বিমান থেকে ফোন করা বা নেট ঘাঁটার সুযোগ মিলতে পারে। কারণ, শুক্রবার তাদের সুপারিশে দু’টি বিষয়েই সায় দিয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। ফলে এ দেশে এই সংক্রান্ত নীতি তৈরির পথ বেশ খানিকটা চওড়া হল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এখন বহু আন্তর্জাতিক উড়ানেই যাত্রীরা ফোন ও নেটের সুবিধা পান। কিন্তু নিরাপত্তার যুক্তিতে ভারতে তা মেলে না। এ নিয়ে স্পষ্ট নীতিও নেই এখানে। তবে গত বছর বিষয়টি সম্পর্কে ট্রাইয়ের কাছে মতামত চেয়েছিল কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট)। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কথা শুনে এই নীতি তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছে বিভিন্ন সুপারিশ করেছে নিয়ন্ত্রকটি।
ট্রাই বলেছে, ভারতের আকাশেও দেশি-বিদেশি সংস্থার বিমানের কেবিনে ওই দুই পরিষেবার অনুমতি দেওয়া উচিত। যেখানে বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এখন। তবে সে জন্য যথাযথ নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তা। তারা জানিয়েছে, ‘এয়ারপ্লেন মোড’-এ ন্যূনতম ৩,০০০ মিটারের উপরে তাতে সায় দেওয়া হোক। তৈরি হোক নেট পরিষেবার জন্য আলাদা গেটওয়ে। তা দেওয়া হোক স্যাটেলাইট পরিষেবা মারফত। যার মাধ্যমে ককপিটে বসে পাইলট বিমান চালান বা এটিসি বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। বিদেশের আকাশে এর মাধ্যমেই বিমান থেকে ওই পরিষেবার সুযোগ পান যাত্রীরা।
সুপারিশ
• ন্যূনতম ৩,০০০ মিটারের উপরে ফোনের সুযোগ মিলুক
• সুবিধা থাকুক নেট ঘাঁটার
• পরিষেবা স্যাটেলাইট মারফত
• নেটের জন্য আলাদা গেটওয়ে
• যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন মেনে নজরদারি
এমিরেটসের মতো বড় সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই এই সুবিধা চালু করেছে। যাত্রী তাঁর ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেবিনে থাকা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতে পারেন। বিমানের সেই স্যাটেলাইট ভিত্তিক ওয়াই-ফাই পরিষেবায় নিজের ফোনেও নেট পরিষেবা পেতে পারেন বা হোয়াটসঅ্যাপ-কল করতে পারেন। কিন্তু ভারতে এ সব মেলে না। এখান থেকে ওড়া কোনও আন্তর্জাতিক বিমান এ দেশের আকাশ সীমা পেরোলে তা দিতে পারে।