দেশের টেলিকম ক্ষেত্রে গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষার যে কাঠামো রয়েছে, তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়ে দিল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। এই ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সোমবার একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে তারা। জানিয়েছে, গ্রাহকদের অভিযোগের সমাধানের জন্যও নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।
শুধু আধার নয়, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইল অ্যাপ থেকে একাধিক বার গ্রাহকদের তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। ট্রাই জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট পরিষেবা সংস্থাগুলি গ্রাহকদের তথ্য জমা রাখতে পারে মাত্র। কিন্তু সম্মতি ছাড়া সেই তথ্য ব্যবহারের অধিকার তাদের নেই। তাই তথ্য সুরক্ষার জন্য আরও কড়া বিধির সুপারিশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় গ্রাহকদের সম্মতি জোগাড় করে এবং তাঁদের তথ্য ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগ উঠেছিল এয়ারটেল পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। সেই সব অ্যাকাউন্টে রান্নার গ্যাস-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের ভর্তুকিও জমা পড়ছিল। সরাসরি সেই ঘটনার কথা উল্লেখ না করলেও ট্রাই বলছে, এ ধরনের আগাম সম্মতি বন্ধ করতে হবে। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার রুখতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সুরক্ষা কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। অবশ্য শুধু টেলিকম পরিষেবা সংস্থাই নয়, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র, অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজারের মতো ব্যবস্থাগুলিকেও সেই কাঠামোর মধ্যে আনার কথা বলেছে ট্রাই।
পাশাপাশি, কোনও তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটলে স্পষ্ট ভাবে তা সংস্থার ওয়েবসাইটে জানানোর সুপারিশ করেছে ট্রাই। এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রুখতে কী করা হচ্ছে, জানাতে হবে তা-ও। টেলিকম শিল্পের সংগঠন সিওএআই তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইয়ের সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে।