টানা চাপেই সিঁদুরে মেঘ

ভাঁড়ার ভাগ থেকে শুরু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের ক্রমাগত নাক গলানোর আঁচ আখেরে ভারতীয় অর্থনীতির মূল্যায়নেও থাবা বসাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও সিঙ্গাপুর শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:০৪
Share:

ভাঁড়ার ভাগ থেকে শুরু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের ক্রমাগত নাক গলানোর আঁচ আখেরে ভারতীয় অর্থনীতির মূল্যায়নেও থাবা বসাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর রঘুরাম রাজন। উদ্বেগ বাড়িয়ে তার হাতেগরম সমর্থন মিলল খোদ মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থা এসঅ্যান্ডপি-র কাছ থেকে। সোমবার তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রের তরফ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপরে এ ভাবে লাগাতার চাপ তৈরি করা শেষমেশ নাড়িয়ে দিতে পারে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতাকেই।

Advertisement

বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে যে বিপুল উদ্বৃত্ত রয়েছে, তার একটি অংশ কোষাগারে আনতে চায় কেন্দ্র। তারা জানিয়েওছে যে, এ সম্পর্কে নিয়ম সংশোধন করা জরুরি। উল্টো দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যুক্তি, ওই ভাঁড়ারে হাত না দেওয়াই উচিত। কারণ, অর্থনীতির উপরে আসা ঝড়ঝাপটা সামাল দিতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর্থিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী থাকা জরুরি। শেষমেশ বোর্ড বৈঠকে ঠিক হয়, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তৈরি হবে বিশেষজ্ঞ কমিটি।

এই প্রসঙ্গেই রাজন বলেন, রেটিং অনুযায়ী ভারত কোনওক্রমে লগ্নিযোগ্য। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে লেনদেনে অনেক ভাল রেটিং লাগে। তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তার সর্বোচ্চ রেটিংয়ের (AAA) হিসেবের খাতা নিয়ে বিরক্ত না করাই উচিত নয় কি? তাঁর ইঙ্গিত, নইলে সেই রেটিং কমার সম্ভাবনা তৈরি হবে। বেশি সুদে ধার করতে হবে শীর্ষ ব্যাঙ্ককে। দেশের অর্থনীতির পক্ষে যা সুখবর নয়।

Advertisement

একই আশঙ্কা এসঅ্যান্ডপি-র মুখে। তারাও স্পষ্ট জানিয়েছে, কেন্দ্র-রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তেতো কথার লড়াইয়ে কড়া নজর রাখছে তারা। ঘটনাপ্রবাহ যে দিকে গড়িয়েছে এবং গভর্নর পদ থেকে উর্জিৎ পটেল যে ভাবে ‘আচমকা’ সরে দাঁড়িয়েছেন, তা শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভাল রেটিংয়ের পক্ষে ভাল নয় বলেই তাদের হুঁশিয়ারি। অন্যান্য বিষয়েও কেন্দ্রের মাথা গলানো খুশি করেনি রাজন এবং এসঅ্যান্ডপি-কে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন