—প্রতীকী ছবি।
আয়কর আইনে বড় বদল আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে সংসদে বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগে প্রথামাফিক বিলটিকে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, নতুন আইন পাশ হলে আমজনতাকে আর আয়করে ছাড় পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
বর্তমানে দেশে চালু রয়েছে ১৯৬১ সালের আয়কর আইন। ছ’দশকের পুরনো যাবতীয় নিয়মকানুন বদলে ফেলতে নতুন বিল আনছে কেন্দ্র। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, মাত্র ছ’মাসের ব্যবধানে বিলটিকে তৈরি করা হয়েছে। এই আইন পাশ হলে সহজ হবে আয়করের নিয়ম। এতে উপকৃত হবেন করদাতারা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তার কথায়, নতুন বিল পাশ হলে এড়ানো যাবে বহু মামলা-মোকদ্দমা। সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় বিলটি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পেশ করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পাশ হয় ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট। ওই দিনই বাজেট বক্তৃতার সময়ে নতুন আয়কর বিল আনার ঘোষণা করেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী নির্মলা। তিনি বলেন, ‘‘নতুন বিল ন্যায়ের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আয়করের অর্ধেক জটিলতা কাটানোর লক্ষ্যে এটিকে আনা হচ্ছে। করদাতা এবং প্রশাসনে থাকা ব্যক্তিরা এটিকে খুব সহজে বুঝতে পারবেন।’’
সূত্রের খবর, আয়কর বিল তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরটির প্রত্যক্ষ করের কেন্দ্রীয় বোর্ড (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্স বা সিবিডিটি)। আয়কর আইনকে সংক্ষিপ্ত এবং সহজ করতে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেছেন তারা। এ ছাড়াও বিভিন্ন দিক পর্যালোচনার জন্য ২২টি উপ-কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।
নতুন আয়কর বিলটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আগে আমজনতার মতামত চেয়েছিল অর্থ মন্ত্রক। মোট চারটি বিষয়ের উপর পরামর্শ দিতে বলা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল, আয়কর আইনের ভাষার সরলীকরণ এবং মামলা-মোকদ্দমা। এ ব্যাপারে মোট ৬,৫০০-র বেশি পরামর্শ মিলেছে বলে জানিয়েছে আয়কর বিভাগ।