অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চাইলেন, আবাসন নির্মাতারা পরিবেশ রক্ষার উপরে আরও বেশি জোর দিক। প্রতিটি প্রকল্পে থাকুক পর্যাপ্ত সবুজ গাছপালা। অন্য দিকে শাহের নজর আকর্ষণ করে শিল্পের বার্তা, দেশে আবাসনের চাহিদা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। আসন্ন বাজেটে তুলনায় কম দামিগুলিতে (সাধ্যের আবাসন) করে সুবিধা দিক সরকার। উৎসাহ ভাতা আনা হোক নির্মাতাদের জন্য। সেই সঙ্গে সাধ্যের ফ্ল্যাটের সংজ্ঞা বদলাক।
শুক্রবার আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাইয়ের এক অনুষ্ঠানে শাহ জানান, ফ্ল্যাট-বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষায় আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হোক। পরিবেশ, আবাসন আইন রেরা কিংবা জিএসটির হার কমানো এই শিল্পের উপকার করেছে। তবে সমস্যা হলে আলোচনা করতেও রাজি কেন্দ্র। ক্রেডাইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি শেখর পটেলের অবশ্য দাবি, ২০৪৭-এর মধ্যে সারা দেশে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না করে দূষণহীন আবাসন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন তাঁরা। বহু দিন ধরেই প্রতিটি নির্মাণ প্রকল্পে পর্যাপ্ত সবুজ রাখার বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। ফলে এই সব বিষয়ে ইতিমধ্যেই সাফল্য এসেছে।
সেই সঙ্গে পটেলের দাবি, শিল্পের উপকার হয় কেন্দ্র দেশে সাধ্যের আবাসনের চাহিদা বাড়ানোয় জোর দিলে। ২০১৭-এ ঠিক হয়েছিল, ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম হলে তা সাধ্যের আবাসন গণ্য হবে। কিন্তু সেগুলিরই খরচ ২০২৫ সালে বেড়ে গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই এই শ্রেণিতে দামের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে করা হোক ৯০ লক্ষ টাকা। বাজেটে সিদ্ধান্ত নিক কেন্দ্র। এতে বহু ক্রেতাও উপকৃত হবেন। তাঁদের জন্য এই শ্রেণির আবাসনের জিএসটির হার মাত্র ১%।
নির্মাতাদের সুবিধার জন্য সাধ্যের আবাসন তৈরির ক্ষেত্রে জিএসটির হার কমানোরও দাবি করেছে ক্রেডাই। বলেছে, চাহিদা বাড়াতে এগুলির নির্মাতাদের উপর জিএসটি ১৮% থেকে কমিয়ে ১২% করা হোক। এই ক্ষেত্রে করের উপর কিছু অতিরিক্ত ছাড়ের দাবিও জানিয়েছে তারা।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে