—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভারতকে বিশ্বের অন্যতম উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ডাক দিয়েছিল মোদী সরকার। সেই লক্ষ্যে কল-কারখানায় পণ্য তৈরির কর্মকাণ্ড বাড়াতে আর্থিক উৎসাহ-সহ বিস্তর প্রকল্পও চালু করে। কিন্তু সোমবার মূল্যায়ন বহুজাতিক মুডি’জ় রেটিংস-এর সতর্কবার্তা, উৎপাদন ক্ষেত্রকে উন্নত করার গোটা পরিকল্পনায় জল ঢালতে পারে ভারতীয় পণ্যের উপরে আমেরিকার বসানো ২৫% শুল্ক। যার সঙ্গে যোগ হবে রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য চাপানো জরিমানাও। বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই-এর দাবি, চলতি অর্থবর্ষে আমেরিকায় ভারতের রফতানি প্রায় ৩০% কমে নামতে পারে ৬০৬০ কোটি ডলারে। বেশ কিছু শিল্প বিপাকে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, বস্ত্র, রাসায়নিকের মতো ক্ষেত্রের রফতানিকারীদের সাহায্য করার পরিকল্পনা করছে সরকার। যাতে ট্রাম্প-শুল্কের প্রভাব থেকে তাদের বাঁচানো যায়।
মুডি’জ়-এর দাবি, দেশীয় চাহিদা অটুট। কিন্তু চড়া শুল্ক আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের বাজার কমাবে। সংস্থার কর্তা ক্রিশ্চিয়ান দ্য গুজ়ম্যান-এর দাবি, ভারতীয় পণ্যের উপর সংশোধিত শুল্ক এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য রফতানিকারীদের তুলনায় চোখে পড়ার মতো বেশি। তাদের অনেকেরই হার ১৫-২০ শতাংশ। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির বাজার কমে আসায় উৎপাদন ক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষ্য পূরণের সম্ভাবনাও হ্রাস পাবে। বিশেষত বৈদ্যুতিনের মতো উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পণ্যের।’’ কেন্দ্রের সূত্র বলছে, পরিস্থিতি আঁচ করেই তৎপর সরকার। বিভিন্ন রফতানি ক্ষেত্রের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা বুঝতে চাইছে। কম সুদে ঋণ, সুদে ভর্তুকির মতো উৎসাহ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির মতো প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে