unemployment

বেকারত্ব বাড়ছে, তবুও সরকারি পদ তৈরি বন্ধ!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বছরে দু’কোটি কাজের প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে কংগ্রেসের তোপ, বেকারত্বের ভয়ানক ছবিটা বদলাতে যখন খোদ সরকারের আরও বেশি কাজের সুযোগ নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত, তখন তারাই চাকরি পাওয়ার পথ বন্ধ করছে এ ভাবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৭:২১
Share:

প্রতীকী চিত্র।


খরচ বাঁচাতে সরকারের সব মন্ত্রক ও দফতরে নতুন পদ তৈরি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় দফতর। শনিবার তা অবিলম্বে ফেরানোর দাবি তুলল বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বছরে দু’কোটি কাজের প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে কংগ্রেসের তোপ, বেকারত্বের ভয়ানক ছবিটা বদলাতে যখন খোদ সরকারের আরও বেশি কাজের সুযোগ নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত, তখন তারাই চাকরি পাওয়ার পথ বন্ধ করছে এ ভাবে। তাদের দাবি, বরং আরও কর্মী নিয়োগের জন্য খালি জায়গা পেতে সরকারি কাজে নতুন পদ তৈরি হোক। পূরণ হোক বর্তমান খালি পদগুলি। সেই সঙ্গে মোদী সরকারকে বিঁধে কোটি কোটি টাকা খরচ বাঁচানোর পরামর্শ হিসেবে তাদের প্রচারমূলক প্রকল্পগুলি কমাতে বলেছে কংগ্রেস।

Advertisement

প্রথমে অর্থনীতির ঝিমুনি ও তার পরে করোনার বিষাক্ত ছোবল, দুইয়ের জেরে তলিয়ে যাওয়া চাহিদা ও ধাক্কা খাওয়া ব্যবসা কাজ কেড়েছে বহু মানুষের। বেকারত্বের ভয়াল ছবি রাতের ঘুম কেড়েছে চাকরির বাজারে পা রাখার বহু তরুণ-তরুণীর। শনিবার টুইটারে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর কটাক্ষ, মোদী সরকারের প্রধান ভাবনা, ‘সব থেকে কম সরকার, সব থেকে বেশি বেসরকারিকরণ’। তিনি বলেন, ‘‘করোনা শুধু ছুতো, আসল উদ্দেশ্য সরকারি দফতরকে স্থায়ী কর্মী ‘মুক্ত’ করা। তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কেড়ে নেওয়া এবং বন্ধুদের সুবিধা দেওয়া।’’

সম্প্রতি আশঙ্কা মিলিয়েই এপ্রিল-জুনে সঙ্কুচিত হয়েছে ভারতের জিডিপি। তবে সেই হার যে ২৩.৯% হবে ভাবেননি অনেকেই। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ৪০ কোটি মানুষ দারিদ্র রেখার নীচে নামবে। কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লের মন্তব্য, ‘‘এটা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। এখন কেন্দ্র যদি মানুষকে সাহায্য করা ও নতুন কাজ তৈরি বন্ধ করে, তরুণদের সাহায্যে এগিয়ে না-আসে, কে তাঁদের পাশে দাঁড়াবে? আর্থিক সঙ্কটে পড়ে বেসরকারি ক্ষেত্র তো কর্মী ছাঁটছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন