Digital Gold

‘হলুদ ধাতু’ কেনার চেয়ে ডিজিটাল সোনায় লগ্নি কেন বেশি লাভজনক? এতে কত পরিমাণে দিতে হয় আয়কর?

ভৌত ‘হলুদ ধাতু’ কেনার চেয়ে ডিজিটাল সোনায় লগ্নি করলে বেশি মুনাফার রয়েছে সুযোগ। তবে এটি আয়করের আওতাধীন। দীর্ঘ এবং স্বল্পমেয়াদি মূলধনী আয়ের উপর এর থেকে কর নিয়ে থাকে সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়তে বাড়তে ১.২ লক্ষ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে ১০ গ্রাম সোনার দাম। বিশ্ব রাজনীতি অস্থির হওয়ার কারণে আগামী দিনে ‘হলুদ ধাতু’ আরও দামি হবে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ। ফলে প্রায় প্রতি দিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনায় লগ্নি। তবে বর্তমানে শুধুমাত্র অলঙ্কার কেনার পুরনো প্রথাগত বিনিয়োগের রাস্তা থেকে কিছুটা সরে আসছে আমজনতা। ডিজিটাল সোনার দিকে ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের।

Advertisement

এখন প্রশ্ন হল, কী এই ডিজিটাল সোনা? প্রথাগত স্বর্ণালঙ্কার বা ‘হলুদ ধাতু’র বারের সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। এটি প্রকৃতপক্ষে অনলাইনে বিক্রি হওয়া ডিজিটাল রূপে থাকা সোনা, যার মূল্য সুরক্ষিত ভল্টে সংরক্ষিত সমপরিমাণ ভৌত স্বর্ণের সমান। উদাহরণ হিসাবে, কোনও ব্যক্তি যদি ৫০০ টাকার ডিজিটাল সোনা কেনেন, তা হলে সেই মূল্যের ভৌত সোনা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের নামে নিরাপদে সংরক্ষিত রাখবে বিক্রয়কারী সংস্থা। সংশ্লিষ্ট ‘হলুদ ধাতু’র বিশুদ্ধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।

ডিজিটাল সোনায় লগ্নির একাধিক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এতে বিনিয়োগের ঝুটঝামেলা অনেকটাই কম। মাত্র এক টাকা দিয়েও ডিজিটাল সোনা কিনতে পারেন গ্রাহক। এর ফলে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে হলুদ ধাতু। গয়না ক্রয়ের ক্ষেত্রে সেই সুবিধা নেই। দ্বিতীয়ত, অলঙ্কারের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা কিনতেই হয়। সেখানে হলুদ ধাতুর ভগ্নাংশ কেনার কোনও সুযোগ নেই। ডিজিটাল সোনায় সেই সুবিধা থাকায় এর প্রতি আমজনতার আকর্ষণ বাড়ছে।

Advertisement

তৃতীয়ত, লগ্নিকারী বছরের যে কোনও সময়ে ডিজিটাল সোনা কিনতে বা বিক্রি করতে পারেন। অলঙ্কারের ক্ষেত্রে হলুদ ধাতু বিক্রির মাধ্যমে মুনাফা করা বেশ জটিল। কারণ, এতে গয়নার মজুরি বাদ দিয়ে সোনার দাম হিসাব করা হয়। তা ছাড়া অনেক সময়ে দামি পাথরে অলঙ্কারের নকশা তৈরি করা হয়। বিক্রির সময় সেগুলিকে বাদ দিয়ে সোনার দর হিসাব করতে হবে। কিন্তু ডিজিটাল সোনায় এ সব ঝামেলা নেই। গ্রাহকের হাতে যে পরিমাণ হলুদ ধাতু রয়েছে, তার দাম পেয়ে যাবেন তিনি।

ডিজিটাল সোনার আর একটি ভাল দিক হল, সব সময় তার মূল্য দেখতে পান গ্রাহক। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে হলুদ ধাতু কী দামে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে, তা জানার সুবিধা রয়েছে তাঁর। আবার লগ্নিকারী ইচ্ছা করলে ডিজিটাল সোনাকে ভৌত হলুদ ধাতুতে বদলে নিতে পারেন। অর্থাৎ, একে সোনার বার বা কয়েনে বদলে নেওয়ার সুযোগ পাবেন তিনি। ডিজিটাল সোনাকে গয়না সোনায় রূপান্তরিত করলে অবশ্য মেকিং চার্জ দিতে হবে তাঁকে।

তবে এই বিনিয়োগ আয়করের আওতার বাইরে নয়। ডিজিটাল সোনা বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ অর্থাৎ মূলধনী আয়ের থেকে দিতে হবে কর। তবে সেটা দীর্ঘমেয়াদি না কি স্বপ্নমেয়াদি, তার উপর নির্ভর করবে করের পরিমাণ। ডিজিটাল সোনায় অবশ্য বিমার সুবিধা পেতে পারেন গ্রাহক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement