১৫ অগস্ট থেকে শুরু হয়ে গেল জিয়ো গিগা ফাইবারের জন্য রেজিস্ট্রেশন। আসুন দেখে নেওয়া যাক কী কী কারণে আপনার রেজিস্ট্রেশন করে রাখা জরুরি।
প্রথমেই একটা ব্যাপার জেনে রাখা ভাল, রেজিস্ট্রেশন করার সঙ্গে কিন্তু কানেকশন নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। জিয়ো-র ওয়েবসাইটে গেলে আপনি জিয়ো ফাইবারের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। কিছু প্রয়োজন কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তরের, যেমন আপনার নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং আপনি কী ধরনের ব্যবহারকারী— এই কটা প্রশ্ন, যার মধ্যে শেষের প্রশ্নটির উত্তর চাইলে আপনি নাও দিতে পারেন। যে ফোন নম্বর আপনি দেবেন, সেখানে একটি ওটিপি আসবে ফর্ম ফিলাপের সময়। এই রেজিস্ট্রেশনের ফলে জিয়োর পক্ষে একটা হিসেব করা সম্ভব হবে, কোন অঞ্চল থেকে কত পরিমাণ চাহিদা তৈরি হচ্ছে। সব থেকে বেশি রেজিস্ট্রেশন যেখান থেকে করা হবে, স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে গিগা ফাইবার পরিষেবা আগে পৌঁছবে।
শুরুতেই সাড়ে চার হাজার টাকা (ফেরতযোগ্য) দিলে আপনি পাবেন প্রয়োজনীয় যন্ত্র এবং তার, যা দিয়ে আপনার ঘর পর্যন্ত হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন। প্রথম ৩ মাস ১০০জিবি করে ডেটা হাইস্পিডে(৫০ এমবিপিস), তার পর কম স্পিডে আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। মাইজিয়ো থেকে বিনামূল্যে ৪০ জিবি হাইস্পিড ডেটা রিচার্জও করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পেনসিলে কী ভাবে সিস ঢোকানো হয় জানেন?
এখানেই ব্যবহারকারীদের মধ্যে দু’টি ভাগ তৈরি হয়েছে। এক দল সস্তায় আনলিমিটেড ইন্টারনেটের পক্ষে, আরেক দলের পছন্দ হাইস্পিড। যারা লোকাল কেবল অপারেটর, তারা ভরসা রাখছেন তাদের গ্রাহকদের উপর, এত দিনের পরিষেবা ও ব্যক্তিগত পরিচিতির ওপর। তবে, যে সমস্ত ভুক্তভোগী ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী আছেন, তারা টাকা বেশি দিতেও রাজি, তাদের একটাই দাবি, যথাযথ পরিষেবা।বিশেষ সতর্কবার্তা, জিয়ো কোনও লোকাল কেবল অপারেটর এর মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করছে না। কাজেই কেউ যদি ফোনে অথবা দেখা করে টাকা চায়, দেবেন না। কিছু প্রতারক গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করে তাদের থেকে অন্যায় ভাবে টাকা নিচ্ছে, তাদের থেকে সাবধান।
আরও পড়ুন: স্যামসাং গ্যালাক্সি এস১০-এর এই ফিচারগুলি জানেন?
আপাতত গিগা ফাইবার সাধারণ ব্রডব্যান্ড ব্যবস্থার মতোই প্রিপেড রিচার্জ করে চালাতে হবে। তবে ভবিষ্যতে পোস্টপেডের সুবিধাও পাবেন ব্যবহারকারীরা। জিয়ো ৪জি আসার পর মানুষ যত ভাল পরিষেবা পেয়েছিলেন, দিন দিন কিছুটা হলেও তার মান কমেছে। নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট, কল ড্রপের মতো ঘটনা নিয়ে অনেকেই বিরক্ত। সেখান থেকে অনেক ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সন্দেহ, টাকা খরচ করে নতুন সংযোগ নিলেও তাতে যে সব ঠিক থাকবে, তার ভরসা কোথায়? ফলে যত দিন না পরিষেবা চালু হচ্ছে, এই নিয়ে সন্দেহ দূর হওয়ার নয়।