আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ১০০ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার কথা বারবার বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করলেও, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের দাবি, তার আগেই সেই লক্ষ্যপূরণ হয়ে যাবে।
সৌরবিদ্যুৎকে কেন্দ্র করে শিল্পোদ্যোগের সম্ভাবনা নিয়ে শনিবার এনবি ইনস্টিটিউট ফর রুরাল টেকনোলজি ও বিক্রম সোলার আয়োজিত এক কর্মশালায় যোগ দিতে এসেছিলেন হর্ষ বর্ধন। তিনি ছাড়াও সেখানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর উপরে জোর দেন বিশেষজ্ঞ শান্তিপদ গণ চৌধুরি, আইআইটি-খড়্গপুরের ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী, এনআইটি-দুর্গাপুরের ডিরেক্টর অনুপম বসু।
যদিও সৌর প্যানেলের উপর ৫% জিএসটি চাপায় এই ব্যবসা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে, দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। সভার পরে এক প্রশ্নের জবাবে হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘‘জিএসটি পর্ষদ নিশ্চয় যা করণীয় করবে। তবে নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারব আমরা।’’
বড় বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি বাড়ির ছাদেও গ্রিড সংযুক্ত ছোট মাপের ব্যবস্থা চালুর পক্ষে সওয়াল করেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, কেন্দ্র এ জন্য আর্থিক সাহায্য দেয়। রাজ্যগুলিও উদ্যোগী হোক। উল্লেখ্য, বাড়ির ছাদে গ্রিড সংযুক্ত ৫ কিলোওয়াটের কম উৎপাদনযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালুর জন্য কোনও নীতি না থাকায় আর্থিক সুবিধা মেলে না। সৌরবিদ্যুৎ দিয়েই ফ্রিজ চালানো কিংবা সৌর জ্যাকেট তৈরির মতো সৌরবিদ্যুৎকে কাজে লাগানোর নানা নতুন ভাবনা এ দিনের কর্মশালায় প্রদর্শন করে বিভিন্ন সংস্থা।