(বাঁ দিক থেকে) দীপুচন্দ্র দাস, মুহাম্মদ ইউনূস এবং অমৃত মণ্ডল। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
অশান্ত বাংলাদেশে আবার গণপিটুনিতে খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার বলেন, ‘‘বাংলাদেশে কট্টরপন্থীদের হাতে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ-সহ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অবিরাম হামলা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’’
রণধীর শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা সকলেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে অবগত। আমরা বিষয়টি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কী ছিল, কী হওয়া উচিত এবং কী হবে, সে বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে অবহিত করছি।’’ ১৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় দীপুচন্দ্র দাস নিহত হন। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তাঁকে পিটিয়ে মেরে জ্বালিয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। সে সময়েও নয়াদিল্লি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জও।
কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। বুধবার গভীর রাতে ঢাকা বিভাগের রাজবাড়ি জেলায় পিটিয়ে মারা হয় স্থানীয় যুবক অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাটকে। জেলা পুলিশের দাবি, তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে গোলমালের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার রাতের ওই ঘটনার পরে সেলিম শেখ নামে অমৃতের এক সহযোগীকেও পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। তাঁর থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় পুলিশের। স্থানীয় থানার ওসি শেখ মঈনুল ইসলামের বক্তব্য, নিহত অমৃতের নামে খুনের অভিযোগ-সহ একাধিক মামলা রয়েছে। নিহতের সহযোগী সেলিমের থেকে একটি পিস্তল এবং একটি ওয়ান শটার পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি পুলিশের। যদিও কট্টরপন্থী জনতার হামলাকে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বতী সরকার ‘তোলাবাজির অভিযোগের মোড়কে’ ঢাকতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই।