Bangladesh Situation

কাজে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছিলেন দীপুকে! ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ধৃত আরও ছয়

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভালুকার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জনকে। ধৃতেরা সকলেই ভালুকার ওই পোশাক কারখানার কর্মী, যেখানে কাজ করতেন দীপু।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৫৯
Share:

গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশে উত্তেজনার ছবি। — ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহে দীপুচন্দ্র দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুন এবং দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আরও ছ’জনকে। ঘটনার দিন রাতে তাঁরাই দীপুকে জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছয় যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮।

Advertisement

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভালুকার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জনকে। ধৃতেরা সকলেই ভালুকার ওই পোশাক কারখানার কর্মী, যেখানে কাজ করতেন দীপু। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম তকবির, রুহুল আমিন, নূর আলম, শামিম মিয়া, সেলিম মিয়া এবং মাসুম খালাসি। তাঁরাই দীপুকে জোর করে কাজে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার তাঁদের আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দীপুকে পিটিয়ে খুনের সময় আরও যাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। এলাকার বিভিন্ন ভিডিয়ো দেখে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে অভিযুক্তদের।

বছর ২৭-এর দীপু ভালুকার একটি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন। ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করার অভিযোগে গত ১৮ ডিসেম্বরের রাতে তাঁকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে উন্মত্ত জনতা। তাতে যুবকের মৃত্যু হয়। এর পর দেহটি গাছের সঙ্গে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তাতে। সেই ভিডিয়ো দ্রুত সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর দীপুর দেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) জানিয়েছে, দীপু সমাজমাধ্যমে বা প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক কোনও কথা বলেছিলেন, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে নেমে প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে র‌্যাবের আধিকারিকেরা জেনেছেন, সে দিন উপস্থিত জনতার কেউই দীপুকে উস্কানিমূলক কিছু বলতে নিজ কানে শোনেননি। বেশির ভাগেরই দাবি, তাঁরা অন্যের মুখে বিষয়টি শুনেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement