প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা প্রকল্প শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে কী না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ওই বিমার যে প্রিমিয়াম ঠিক করা হয়েছে, তা দিয়ে প্রকল্পটিকে লাভজনক ভাবে টিকিযে রাখার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা প্রকল্প যাতে লোকসানের মুখে না পড়ে, তার জন্য স্টাম্প ডিউটি ছাড়ের আর্জি জানিয়েছে লাইফ ইনসিওরেন্স কাউন্সিল। পাশাপাশি ওই প্রকল্পে রি-ইনশিওরেন্সের খরচ অর্ধেক করার আর্জি জানিয়েও আইআরডিএ-র কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা প্রকল্পটি হল ২ লক্ষ টাকার একটি ‘টার্ম’ বিমা পলিসি। ওই প্রকল্পে শুধু গ্রাহক মারা গেলে নমিনি বিমার টাকা পাবেন। গ্রাহক জীবিত থাকলে বিমার মেয়াদ পূর্তির পর কোনও টাকা পাওয়া যাবে না। ওই পলিসিতে প্রিমিয়ামের হার ঠিক করা হয়েছে বছরে ৩৩০ টাকা। পলিসি কিনতে হবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাঙ্ক থেকে।
শনিবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত বিমা নিয়ে এক আলোচনাসভায় লাইফ ইনসিওরেন্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল ভি মণিকম বলেন, ‘‘ওই ৩৩০ টাকার মধ্যে কমিশন এবং পরিষেবা খরচ বাবদ ৪১ টাকা নেবে ব্যাঙ্ক। স্ট্যাম্প ডিউটি বাবাদ ৪০ টাকা যাবে রাজ্য সরকারের ঘরে। রি-ইনসিওরেন্স বাবদ খরচ হবে ১৮০ টাকার মতো। বিমা সংস্থার ঘরে পড়ে থাকবে প্রায় ৭০ টাকা। ওই টাকা দিয়ে লাভজনক ভাবে পলিসি চালানোর ব্যাপারে বিমা সংস্থাগুলি কঠিন সমস্যার মুখে পড়বে।’’
তবে জীবন বিমা কাউন্সলের উদ্যোগ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছ বিভিন্ন মহলে। কারণ, প্রথমত, বেসরকারি রি-ইনসিওরেন্স সংস্থাগুলি সরকারি প্রকল্পের স্বার্থে আর্থিক ত্যাগ করতে কতটা রাজি হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের জন্য সমস্ত রাজ্য সরকার স্ট্যাম্প ডিউটি ছেড়ে দিতে রাজি হবে কি না, সংশয় রয়েছে তা নিয়েও।