মোদী কেয়ারে ভরসা সেস, সব রাজ্য কি রাজি

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাজেটে যে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ বা জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন, তাতে দেশের ১০ কোটি পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের পুরো দায়ই নেবে সরকার। কেন্দ্র ৬০%। বাকি ৪০% দেওয়ার কথা রাজ্যগুলির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৩
Share:

বাজেটে সাড়া জাগিয়ে ঘোষণার পরে স্বাস্থ্য বিমার খুঁটিনাটি শুক্রবার স্পষ্ট করল কেন্দ্র। জানাল, নিখরচায় চিকিৎসা মিলবে ‘মোদী কেয়ার’-এ। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বাজেটে যে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ বা জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন, তাতে দেশের ১০ কোটি পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের পুরো দায়ই নেবে সরকার। কেন্দ্র ৬০%। বাকি ৪০% দেওয়ার কথা রাজ্যগুলির।

Advertisement

নীতি আয়োগের কর্তাদের হিসেব, ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার জন্য পরিবার প্রতি প্রিমিয়াম দাঁড়াবে ১,০০০-১,২০০ টাকা। বছরে মোট ১০-১২ হাজার কোটি। প্রকল্পটি কার্যকর করতে হবে রাজ্যগুলিকেই। আগামী সপ্তাহ থেকে রাজ্যগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করবে কেন্দ্র। তবে সব রাজ্যই এতে যোগ দেবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। কারণ কেন্দ্রের অন্দরেই অনেকের মতে, যে সব রাজ্যে আগে থেকে স্বাস্থ্যবিমা চালু রয়েছে, তারা বলতে পারে, তাদের প্রকল্প কেন্দ্রের থেকে ভাল।

কেন্দ্র এর টাকা জোগাবে কোথা থেকে? বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ২ হাজার কোটি। নীতি আয়োগের সদস্য বিনোদ পাল বলেন, ‘‘শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেস থেকে যে ১১ হাজার কোটি টাকা আয় হবে, সেই অর্থ কাজে লাগানো হবে।’’ তবে প্রথম বছরে মাত্র ৫-৬ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। কারণ প্রকল্পটি চালু হতে এখনও কয়েক মাস দেরি।

Advertisement

২ অক্টোবর বা ১৫ অগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে তা চালু করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। মহকুমা ও তার উপরের স্তরের হাসপাতালে যে সব চিকিৎসা মেলে, তার অধিকাংশই এই বিমার আওতায় থাকবে। ক্রিটিকাল কেয়ার, ট্রমা ও আপৎকালীন চিকিৎসাও এই বিমার আওতায় আসবে। সরকার বিভিন্ন চিকিৎসা ও পরিষেবার খরচ বেঁধে দেবে। বেশির ভাগ সরকারি হাসপাতাল ও তালিকাভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালে এই সুবিধা মিলবে।

যে ১০ কোটি পরিবার এর সুবিধা পাবেন, তার মধ্যে ৮ কোটি বিপিএল তালিকাভুক্ত। আর্থ-সামাজিক জাতিগত সুমারিতে বঞ্চিতদের তালিকায় থাকা বাকি ২ কোটি পরিবার এর সঙ্গে যোগ হবে। নীতি আয়োগ জানাচ্ছে, পরিবারের সদস্যসংখ্যার উপরে বাধানিষেধ থাকছে না। ভিন্ রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা পেতেও অসুবিধা হবে না। নথি লাগবে না। আধার কার্ডও বাধ্যতামূলক নয়।

নীতি আয়োগের উপদেষ্টা অলোক কুমার বলেন, রাজ্যগুলি কোনও ট্রাস্ট তৈরি করে, সেখানে প্রিমিয়ামের টাকা জমা করে এই প্রকল্প চালাতে পারে। অথবা প্রতিযেগিতার মাধ্যমে কোনও বিমা সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে পারে। এতে কি বিমা সংস্থা ও বেসরকারি হাসপাতালের পোয়াবারো হবে? তাঁর যুক্তি, সরকারি হাসপাতাল ভাল পরিষেবা দিলে মানুষ সেখানে যাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন