নাম বদলাল আইএনজি বৈশ্য লাইফ ইনশিওরেন্স। নতুন পরিচয় এক্সাইড লাইফ ইনশিওরেন্স।
২০০৫ সাল থেকেই বিমা সংস্থাটিতে সিংহভাগ মালিকানা ছিল এক্সাইডের। গত বছর ১০০% শেয়ারই হাতে নেয় তারা। এ বার দেশের ব্যাটারি বাজারে অন্যতম অগ্রণী সংস্থা এক্সাইডের একশো বছরেরও বেশি ঐতিহ্য এবং ব্র্যান্ড-নাম তাদের বিমা ব্যবসাতেও কাজে লাগবে বলে এক্সাইড লাইফ ইনশিওরেন্সের এমডি তথা সিইও ক্ষিতিজ জৈনের দাবি। সংস্থার নয়া প্রকল্পগুলিও এ বার থেকে পরিচিত হবে এক্সাইডের ব্র্যান্ড-নামেই।
২০০১ সালে বিমা ব্যবসায় পা রাখা বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক এই বিমা সংস্থাটির এখনও পর্যন্ত মূল আধিপত্য দক্ষিণ ভারতে। এ বার দেশের অন্য প্রান্তেও পরিচিতি বাড়াতে চায় তারা। যার প্রথম ধাপ হিসেবে কলকাতা, আসানসোল-সহ পূর্ব এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলে ৯টি অফিস খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। কলকাতার সংস্থা হিসেবে এক্সাইডের পরিচিতি সে ক্ষেত্রে সুবিধা দেবে বলে সংস্থার দাবি। জৈন বলেন, “নিয়ন্ত্রকের অনুমতি পেলেই নতুন অফিস চালু করব। পূর্বাঞ্চলে ব্যবসা কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে।”
অনেক সংস্থা যখন বিমা ব্যবসা থেকে হাত গোটাচ্ছে, তখন কেন এই সম্প্রসারণে ঝোঁক? জৈন এবং এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর (ফিনান্স) তথা সিএফও আশিস মুখোপাধ্যায়ের দাবি, বিমা ব্যবসার সম্ভাবনা বিপুল। এ দেশের খুব কম মানুষেরই বিমা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১২-’১৩ সালে প্রথম লাভের (২৩ কোটি টাকা) মুখ দেখে সংস্থাটি। গত অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ৫৩ কোটি।
এক্সাইড কি বিমা ব্যবসায় তাদের শেয়ার কোনও দেশি বা বিদেশি সংস্থাকে বিক্রির কথা ভাবছে? বাজারে এ নিয়ে চালু জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে জৈন এবং আশিসবাবুর দাবি, দীর্ঘ মেয়াদি লক্ষ্যেই এই ব্যবসায় এসেছেন তাঁরা। তাই অন্য রকম কিছু ভাবার প্রশ্ন নেই। উল্লেখ্য, ১০০% মালিকানা হাতে নেওয়ার পর এই সংস্থায় আরও ১৩৫ কোটি টাকা ঢেলেছে এক্সাইড।